নীলফামারী-৪ আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য মো. শওকত চৌধুরীকে ২৫ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ৫০ দিনের মধ্যে এ টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে তার জামিন বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে হাইকোর্ট।
ঋণ জালিয়াতির মামলায় জামিন বাতিল সংক্রান্ত রুল শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের ডিভিশন বেঞ্চ রবিবার এ রায় দেন। আদালতে শওকত চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন ও রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ শুনানি করেন। কমার্স ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন।
ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত বছরের ৮ ও ১০ মে শওকত চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে। একটি মামলায় ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২১৩ টাকা এবং আরেক মামলায় ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শওকত চৌধুরী ৩টি কোম্পানির নামে ৩৪টি এলসি খুলে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক বংশাল শাখা থেকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. আসাদুজ্জামান, বংশাল শাখার ম্যানেজার হাবিবুল গণিসহ আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে যথাযথ নথিপত্র ছাড়াই এ ঋণ জালিয়াতি করেন। এ দুই মামলায় গত বছরের আগস্ট মাসে শওকত চৌধুরীকে ৪ সপ্তাহের জামিন দেয় হাইকোর্ট। পরবর্তীকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত থেকে তিনি ৬ মাসের জামিন পান। পরে ওই দু’টি মামলার আসামি দুই ব্যাংক কর্মকর্তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে হাইকোর্ট শওকত চৌধুরীর জামিন কেন বাতিল করা হবে না এই মর্মে স্বতপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে। রবিবার এ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেয়।
ব্যাংকের আইনজীবী সারোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, বর্তমানে এ ঋণের পরিমাণ সুদে-আসলে ১৩৪ কোট টাকায় দাঁড়িয়েছে।