বগুড়ায় পুলিশের পরিচয়ে নয়টি বিয়ের পর গ্রেফতার হয়েছে এক প্রতারক। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) আশিক ইকবাল। এর আগে, সোমবার রাতে মোকামতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পরিচয় দেয়া নাজমুল হকের (৩০) বাড়ি পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার ধোপাদহ গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ কর্মকর্তা আশিক ইকবাল জানান, পুলিশের এসআই পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে নয়টি বিয়ে করেন নাজমুল হক। নিজ জেলায় পাঁচটি এবং বগুড়ার মোকামতলা এলাকায় আরো চারটি বিয়ে করে যৌতুক হিসেবে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। মোবাইলে পুলিশের পোশাক পরা ছবি দেখিয়ে ভয়-ভীতিও দেখাতেন অনেককে। অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হন সেই নাজমুল। বগুড়ার শিবগঞ্জের ভরিয়া গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিতে গিয়ে আটক হন তিনি।
তিনি আরো জানান, সোমবার সকাল ১০টায় শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ভরিয়া গ্রামে ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখের বাড়িতে যান নাজমুল হক। এ সময় তিনি নিজেকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় কর্মরত এসআই পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিতে চান। এতে সন্দেহ হলে বাসা ফাঁকা নেই বলে তাকে জানিয়ে দেন ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখ। পুলিশ পরিচয় দেয়া নাজমুল মঞ্জু শেখের ফোন নম্বর নিয়ে চলে যান। এরপর বিকেলে ফোন করে মঞ্জু শেখের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার চান তিনি। এতে মঞ্জু শেখের সন্দেহ হলে বিষয়টি মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানান। পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, নাজমুল হক নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে মোকামতলা এলাকায় ইতোপূর্বে চারটি বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করতেন। এছাড়াও পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন জনের কাছে তদবিরের নামে টাকা হাতিয়ে নিতেন। পরে সোমবার রাতে কৌশলে পুলিশ তাকে আটক করে।
তিনি বলেন, ‘নাজমুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে পুলিশের পোশাক পরিহিত একাধিক ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ছবিগুলো দেখিয়ে তিনি মানুষের সাথে প্রতারণা করতেন।
তিনি জানান, অনুসন্ধানে জানা গেছে যে নাজমুল হক পুলিশের এসআই পরিচয়ে তার এলাকাতেও আরো পাঁচটি বিয়ে করেছেন।
আটকের পর ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখ শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।