ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত উপকারী বলেই এতদিন আমরা সবাই জনে এসেছি। তবে মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে আবার ব্যায়ামই হয়ে উঠতে পারে পুরুষের হৃদরোগের কারণ।
সাম্প্রতিক কালে এক গবেষণায় দেখা গেছে, পূর্ণবয়স্ক এক জন ব্যক্তি সপ্তাহে যদি ৭ ঘণ্টার বেশি ব্যায়াম করে, তাহলে তার রক্তনালিকায় আস্তরণ পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে ৮৬ শতাংশ। রক্তনালিকার ভেতরে এ আস্তরণ পড়ার ধারাবাহিকতায়ই হৃদরোগ দেখা দেয়।
তবে আশার কথা হচ্ছে, বিষয়টি এখন পর্যন্ত শুধু শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের মধ্যেই দেখা গেছে। নারী, কৃষ্ণাঙ্গ বা মিশ্র বর্ণের কারো মধ্যে এখন পর্যন্ত অতিব্যায়ামে রক্তে আস্তরণ পড়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধির কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক শিকাগোভিত্তিক ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ের কলেজ অব অ্যাপ্লায়েড হেলথ সায়েন্সের ফিজিক্যাল থেরাপি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর দীপিকা লাড্ডু বলেন, গবেষণার ফলটি অবাক করার মতো। কারণ আমরা ব্যায়ামকে সাধারণত ওষুধ হিসেবেই দেখে থাকি এবং হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারিতার মাত্রা ছাড়ানোর পর ব্যায়াম যে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না।
তবে শুধু এ গবেষণার ওপর ভিত্তি করেই ব্যায়ামের মাত্রা কমিয়ে দেয়ার পক্ষপাতী নন দীপিকা লাড্ডু। কারণ গবেষকদের এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর বের করা বাকি রয়েছে। তিনি বলেন, গবেষণায় আমরা শুধু সংযোগটুকু দেখতে পেয়েছি। কিন্তু শুধু ব্যায়াম করার কারণেই শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে, এটা বলার সময় এখনো আসেনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা এটা বলতে চাইছি না, ব্যায়ামের কোনো ক্ষতিকর দিক রয়েছে। কারণ এমনও হতে পারে, শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের রক্তে এমনিতেই আস্তরণ পড়ার শঙ্কা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি। অন্যদিকে পরিস্থিতি যখন খারাপ পর্যায়ে চলে যায়; ব্যায়ামই এসব আস্তরণকে স্ফীত হয়ে ওঠা থেকে বাধা দেয়। প্রকৃত ঘটনা আসলে কী, সেটা বের করতে এখনো অনেক গবেষণা প্রয়োজন। -ইউপিআই