বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া সীমান্তে একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে জেলা শহরের নিজ কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের কাছে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তুমব্রুর ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছৈয়দুর রহমান হিরা গণমাধ্যমকে জানান, রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মিয়ানমারের সামান্য ভেতরে সে দেশের দুটি যুদ্ধ হেলিকপ্টার আকাশে মহড়া দিতে থাকে।
ঠিক সেই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা করার জন্য ওই হেলিকপ্টারের মহড়া চলে। হঠাৎ করে হেলিকপ্টার সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি আসার ফলে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে থাকা মানুষের মনে ভয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, নিজের কাজে এলাকার বাইরে রয়েছেন। তবে মোবাইল ফোনে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন তিনি।
গত ৮-১০ দিন থেকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে কী কারণে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে তা এখনো জানা যায়নি।
মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত বর্তমানে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। কদিন ধরেই সীমান্ত এলাকায় ভারী অস্ত্র থেকে ছোড়া গুলি এবং মর্টার শেল শব্দ শোনা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে আগুনের ধোঁয়া।
এর আগে ২০২২ সালেও মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষ হয়। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলা ও মার্টার শেল বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়ে। অবশ্য মিয়ানমার সেনারা এই ঘটনার দায় চাপায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর।