ভারতীয় নাগরিক হালিমা খানম বরিশালের উজিরপুরের ভোটার হতে গিয়ে স্বামী, ভাসুরসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সাতলা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- ভারতের নাগরিক হালিমা খানম। তার স্বামী এবাদুল ইসলাম (২৬) ও ভাসুর এনামুল।
জানা গেছে, উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতলা গ্রামের মো. সালাম হালাদারের ছেলে মো. এবাদুল হাওলাদার কাজের জন্য ৭ বছর আগে চোরাই পথে ভারত যায়। সেখানে কাজের সুবাদে ভারতীয় নাগরিক হালিমা খানমের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ছনিয়া খানম নামে ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে গত দুই মাস আগে তারা চোরাই পথে বাংলাদেশে আসে। পরে হালিমা খানম উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সনদ নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করেন।
ভোটার হওয়ার আবেদন যাচাই-বাছাই করার সময় বরিশাল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান মুন্সি ও উজিরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ তাদের কাছে সঠিক নাম ঠিকানা জানতে চান। পরে তারা সঠিক নাম ঠিকানা বলতে না পারায় সন্দেহ হলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত হালিমা খানম বলেন, আমি ভারতের উড়িষ্যা থেকে ২ মাস আগে বাংলাদেশে এসেছি। আমার সাথে এবাদুল হাওলাদারের বিবাহ হয়েছে। আমাদের ৫ বছরের সন্তান রয়েছে।
এবাদুল হাওলাদার বলেন, আমি ভারতে কাজের জন্য ৭ বছর আগে চোরাই পথে যাই। ওই সময় হালিমার সাথে আমার পরিচয় হয়। ভারতে থাকাকালীন আমাদের বিয়ে হয়েছে। দুই মাস আগে আমার স্ত্রী হালিমা ও সন্তানকে নিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে এসেছি। বাংলাদেশে নাগরিক হওয়ার জন্য চেয়ারম্যানের জন্ম নিবন্ধন প্রত্যায়ন ও ভোটারের অঙ্গীকারনামা নিয়ে আবেদন করেছি।
সাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জানান, আমার কাছে সে নিয়মানুযায়ী আবেদন করেছে। আমি আবেদনের ভিত্তিতে জন্ম নিবন্ধন, প্রত্যয়ন ও ভোটার অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর দিয়েছি। সে ভারতের নাগরিক সেটা আমার জানা ছিল না।