• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন

কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীদের সরানো হবে ঈদের পর

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম

আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর ভেঙে ফেলা হবে কাওরান বাজারের কাঁচাবাজার ভবনটি। এরপর ধাপে ধাপে অপসারণ করা হবে অন্যান্য অংশ।

সোমবার (১৮ মার্চ) বিকালে রাজধানীর গাবতলীতে প্রস্তাবিত কাঁচাবাজারে কাওরান বাজারের সবজি ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং কাওরান বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।

মতবিনিময় সভায় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের পর কাওরান বাজারে ডিএনসিসির পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে। যেকোনও সময় এটি ধসে পড়তে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে বহু মানুষের জীবন হুমকিতে রয়েছে। কাওরান বাজারের পাইকারি কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের গাবতলীতে ডিএনসিসির পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তর করা হবে। দ্রুতই গাবতলীতে তাদের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘বরাদ্দ দেওয়া হলে আপনারা যারা আসবেন না, তাদের দায় নিজেদের নিতে হবে। বরাদ্দ পাওয়ার পর কেউ না এলে সেটি নিয়ম অনুযায়ী অন্যজনকে বরাদ্দ দিয়ে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ—স্মার্ট শহরের কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ এই পাইকারি কাঁচাবাজার থাকতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম ধাপে কারওয়ান বাজার আড়ত মার্কেটের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার মোট ১৭৬টি দোকান গাবতলীতে স্থানান্তর করা হবে। এছাড়া কাওরান বাজারে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১৮০টি টিনশেড দোকান আমিনবাজারের পাইকারি কাঁচাবাজারের আশপাশের উন্মুক্ত স্থানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কাওরান বাজারের ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে বহু মানুষ হতাহত হবে। আমরা আর মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে— ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনও ব্যবসা চলতে দেওয়া যাবে না। ঈদের পর কাওরান বাজারের কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর শুরু হবে। ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নেন। মেয়র মহোদয় একটি চমৎকার সুযোগ আপনাদের জন্য দিচ্ছেন। আপনাদের অবশ্যই এই সুযোগ গ্রহণ করা উচিত। মেয়র বলেছেন, নদীর পাশে বিজিবি মার্কেটে মাছের আড়ত নির্মাণ করে দেবেন। সব সুবিধাই আপনাদের জন্য নিশ্চিত করা হবে।’

বিশেষ অতিথি বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই—কাওরান বাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর। অতএব, এটি বাস্তবায়ন হতেই হবে। স্থানান্তর হলে সব সুবিধাই পর্যায়ক্রমে নিশ্চিত করা হবে। গাবতলীতে বাজার শুরু হলে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

মতবিনিময় সভা শুরুর আগে ডিএনসিসি মেয়র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাবতলী পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখেন। এসময় কাওরান বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা গাবতলীতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুজিব সরোয়ার মাসুম, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর হামিদা আক্তার (মিতা) এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ