বগুড়ায় পাইকারি বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে সর্বনিম্ন আড়াই টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ টাকা কেজিতে ৷
রমজানে প্রতি বছরই আগুন লাগে বেগুনের বাজারে। ব্যতিক্রম ছিল না এবারও। সপ্তাহের শুরুতেও জাত ও মান ভেদে বেগুনের দাম ছিল ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। তবে হঠাৎ করেই ধস নেমেছে বেগুনের বাজারে। পাইকারি বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে আড়াই থেকে ৫ টাকা কেজিতে। একই চিত্র গ্রামের হাটগুলোতেও।
তবে শহরের খুচরা বাজারে সাধারণ বিক্রেতারা ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা দরে বেগুন বিক্রি করছেন। বেগুন উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজারে দাম কমে ক্ষতির কবলে পড়েছেন কৃষকরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বিপুল পরিমাণ ফলনে বাজারে বেগুন সরবরাহ বেড়েছে ৷ সেইসঙ্গে ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদাও কমে গেছে। এ ছাড়া এরসঙ্গে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত থেকে বৈরী আবহাওয়ায় বাজার প্রায় ক্রেতা শূন্য হওয়ায় বিপাকে ব্যবসায়ী ও কৃষক।
শহরের বড় কাঁচাবাজার রাজাবাজারের ব্যবসায়ী আহসান হাবীব জানান, গত কয়েকদিন ধরে বেগুনের দাম কম। মানুষ বেগুন কিনছেনও কম। আমরা ৬ থেকে ৮ টাকা কেজি কিনে এনে এখন বিক্রিই করতে পারছি না। রমজানে মানুষের সবজি খাওয়ার প্রবণতা কম। এ কারণে হয়তো চাহিদা কমে গেছে এমন ধারণা করছেন তিনি।
বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার কামারপাড়া এলাকার সবজি চাষি খয়বর আলী, রাজু আহমেদ জানান, অনেক আশা নিয়ে বেগুনের চাষাবাদ করেছিলেন তারা ৷ ভেবেছিলেন রমজান মাসে ভালো দাম পাবেন ৷ কিন্তু সে গুড়েবালি ৷ পাইকারি বাজারে এখন সবজির দামই করছে না কেউ। আশানুরূপ দাম পাওয়া তো দূরের কথা ৷
বগুড়ার মহাস্থান সবজি হাটে বেগুন চাষি লিয়াকত মিয়া জানান, এক সপ্তাহ আগেও মণপ্রতি বেগুন বিক্রি করেছেন ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকায়। আজ কয়েকদিনে সেই বেগুনের দাম নেমে এসেছে মণপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকায়। হঠাৎ এমন দাম পড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, শহরের বাজারে এই বেগুন বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। পাইকাররা কম দামে বেগুন কিনে শহরে বেশি দামে বিক্রি করছে। এই পার্থক্য কোনোভাবেই কাম্য না।
এদিকে সবজি বাজারের ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। সবজির দাম কমেছে। চাপ কমেছে তাদের পকেটের ওপরও। গেল দু-একদিনে বেগুন ছাড়াও অন্য সবজির দামও কমেছে। ভালো উৎপাদন হয়েছে বলে দাম কমেছে মন্তব্য তাদের।