বগুড়া প্রতীনিধি : আসন্ন ৮ ই মে- ২০২৪ বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচনে বগুড়া ১ আসনের এমপি শাহাদারা মান্নানের পুত্র সাখাওয়াত হোসেন সজলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলার ১১ ইউপি চেয়ারম্যানের চিঠি প্রকাশিত হয়,
ওই চিঠিতে উপজেলা চেয়ারম্যানেরা এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উল্লেখ করেন,
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, বর্তমান এমপি সাহাদারা মান্নান উপজেলা নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণার সাথে সাথেই তার পুত্র সাখাওয়াত হোসেন সজল কে সারিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা করে চালান বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা। ও সকলকে তার পুত্রের পক্ষে কাজ করতে বলেন ।
এতে অপরাগতা প্রকাশ করেন ইউপি সদস্যরা। ইউপি সদস্যদের মতে এমপি পুত্র সাখাওয়াত হোসেন সজল একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। তিনি দলীয় প্রবীণ নেতাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য এবং গালিগালাজ করে থাকেন । ওই চিঠি থেকে আরও জানা যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষণায় উৎসাহিত হয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং সোনাতলা সারিয়াকান্দির জনপ্রিয় ব্যক্তি, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন হার্ট শেরপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ এফাজ উদ্দিন । কিন্তু তার এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরকে সমর্থন করাই হয়ে দাঁড়ায় কাল। চিঠি থেকে জানাযায় এফাজ উদ্দিনের ইজারাকৃত বালি প্রশাসনকে প্রভাবিত করে জব্দ করায়, বর্তমান এমপি শাহাদারা মান্নান,
এবং আরো জানা যায় তার ছেলের পক্ষে কাজ করতে বলেন এমপি শাহাদারা মান্নান, অন্যথায় দলীয় নেতা-কর্মীদের ভয় দেখান –
এবং সরকারি দপ্তর গুলোর দায়িত্ব রত কর্মকর্তা গণকে চাকরি চুত্ত অথবা বদলির ভীতি ধরিয়ে দেন।
প্রকাশিত চিঠিতে থেকে আরও জানা যায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে এমপির নিকট আত্মীয় দের বসিয়ে করে যাচ্ছেন অনিয়ম দুর্নীতি। উদাহরণস্বরূপ ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে চান্দনবাইসা ডিগ্রী কলেজের ছয়টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ।
নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এমপি ও তার পুত্র সাখাওয়াত হোসেন সজল উভয়েই উপস্থিত থেকে নিয়োগ পরীক্ষা কে প্রভাবিত করে তাদের কাঙ্খিত ব্যক্তিকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এবং তার অনৈতিক কাজের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে বগুড়া সারিয়াকান্দি সোনাতলা দলীয় নেতাকর্মী, জনসাধারণ এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায় এহেন কর্মকান্ড দেখে।
এমতাবস্থায় জনগণের কাঙ্খিত সেবা পরিচালনায় করতেও তারা ভীতির মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন। প্রকাশিত ওই চিঠি থেকে আরো জানা যায় সারিয়াকান্দি দলীয় অফিসে এমপি শাহাদারা মান্নানের উপস্থিতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মন্টুকে বিশ্রী ভাষায় গালাগালি করেন ও মারতে যায় । এই ঘটনা সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন, উপজেলা প্রশাসন সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা সহ সকল সারিয়াকান্দিবাসীর মধ্য ভীতি ছড়িয়ে পড়ে ।
এমতাব তাদের ত্রাসের শাসন থেকে বাঁচতে ও সারিয়াকান্দি উপজেলাকে সামনে এগিয়ে নিতে সজন প্রীতি থেকে রক্ষা পেতে চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।