গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের ২১ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দুঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ ফুকরা গ্রামে মোল্লা ও শেখ বংশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ফজর নামাজ পড়ে আসার সময় মোল্লা গ্রুপের একজনকে শেখ গ্রুপের লোকজন আহত করলে দুগ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাশিয়ানী থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, হারুন মোল্লার নেতৃত্বে এক গ্রুপ ও শেখ গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে সাইফুল শিকদার। তাদের মধ্যে গ্রামে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব চলছিল। রোববার সকালে মোল্লা গ্রুপের আসিদুল মোল্লা মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে শেখ গ্রুপের আমিনুর ও তার দলবল অতর্কিত আক্রমণ করলে তিনি গুরুতর আহত হন বলে স্থানীয়রা বলছেন।
ওসি বলেন, এ খবর পেয়ে শেখ গ্রুপের অন্যান্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র লাঠিসোঁটা, রামদা প্রভৃতি নিয়ে মোল্লা গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। এতে দুগ্রুপই সংঘাতে লিপ্ত হয়। এ সময় অন্তত ১৬ বসতবাড়ি ভাঙচুর ও ১০টি গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।