কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে ফের বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। সেই সঙ্গে কালো ধোঁয়া দেখা গেছে। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্তের বাসিন্দারা।
নাফ নদী দিয়ে সেন্টমার্টিন যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ আজম। যাওয়ার সময় মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতের চিত্র নিজ চোখে দেখে হতভম্ব হয়ে যান তিনি।
তিনি বলেন বলেন নাফ নদী দিয়ে যাওয়ার সময় মিয়ানমার নৌ সেনারা আমাদের দিকে বন্দুক তাক করেন। সেসময় বন্দুকে ম্যাগজিনও ঢুকান তারা। এ দৃশ্য দেখে ভয়ে ট্রলারে থাকা সবার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে উঠে। যদিও পরে বন্দুক নামিয়ে ফেলেন নৌ সেনারা।
মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘সেন্টমার্টিন যেতে হলে মাঝেমধ্যে ট্রলার মিয়ানমার পানি সীমান্ত হয়ে যেতে হয়। আজও তাই হয়েছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতি আশা করিনি।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার সংঘাতের কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন গ্রাম ছাড়ছে সেখানকার রোহিঙ্গারা। প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার জন্য হাজারো রোহিঙ্গা নাফ নদীর ওপারে ভিড় করছেন।
টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, ‘মিয়ানমার সংঘাতের কারণে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে আছে টেকনাফ উপজেলার সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা। ওপারে গুলির আওয়াজ ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এপারের জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। রোববার সকাল থেকে মিয়ানমারের গুলির আওয়াজে আতঙ্কে রয়েছে টেকনাফ সাবরাং শাহপরীর দ্বীপ এলাকার বাসিন্দারা। সীমান্তের বাসিন্দারা তাদের অসুবিধার কথা জানালে আমি সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করি।