• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
৪২ বছর পর স্বজনদের সাথে সাক্ষাতে জানতে পারলেন তিনি মুসলিম, অতঃপর…! আবারো পেছালো রূপপুর পরমাণু কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন সাংবাদিককে মারধর করে প্রেস কার্ড ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা, সিরাজগঞ্জে মাদক মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন বাজার থেকে ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ প্রত্যাহারের নির্দেশ মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ, বাসে হামলা এমপি আনার ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে নিখোঁজ হাত-পা-মুখ বেঁধে সুপারি ‘চুরি’র অপবাদে ২ শিশুকে নির্যাতন বাংলাদেশি হতাহতের খবর মেলেনি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জন্ম সনদে পাওয়া গেছে ভিন্নতা, ডিগ্রি পাস করেছেন ১৪ বছরে

বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের খড়িলার বিলে খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার (বৃষ্টির জন্য যে নামাজ পড়া হয়) নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবারও একই স্থানে সকালে নামাজ আদায় করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে নানা বয়সী মানুষ নামাজের জন্য মাঠে হাজির হন। নামাজের ইমাম প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাপপ্রবাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তারা।

সেখানে উপস্থিত স্থানীয় কৃষক মিরাজুল রহমান বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। কলে পানি উঠছে না। ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাজের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে সবাই দোয়া করেছেন।

দহখোলা দক্ষিণ ভবানীপুর কওমি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রাসেল মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। সে জন্য বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছি। আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবারও একই স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ হবে।

নামাজে ইমামতি করেন রসুলপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী। তিনি বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ