পাকিস্তান সফর করছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার এই সফরে ইসলামাবাদের সঙ্গে বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। পাকিস্তান সফর এখনও শেষ হয়নি রাইসির, কিন্তু এর মধ্যেই ইসলামাবাদকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে ওয়াশিংটন। যদিও সরাসরি পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, কেউ যদি ইরানের সঙ্গে কোনো প্রকার বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী হয়, সে ক্ষেত্রে এ-সম্পর্কিত কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। যুক্তরাষ্ট্র শুধু পাকিস্তানের বৃহত্তম রফতানি বাজারই নয়, বরং দেশটির অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ।
মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, গত ২০ বছর ধরে আমরা পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। তাই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সাফল্য এক অর্থে আমাদেরও সাফল্য এবং আমরা এই অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে চাই।
পাকিস্তানের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে তেহরানের সঙ্গে বাণিজ্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও বিচার বিভাগ সংক্রান্ত অন্তত আটটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই স্বাক্ষর করেছে ইসলামাবাদ। ইব্রাহিম রাইসি ইরানে ফিরে যাওয়ার আগে আরো কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।
আরো পড়ুন ইরানে হামলা হলে ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে: প্রেসিডেন্ট রাইসি
এমন এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের এই সতর্কবার্তা এলো, যখন অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান বৈদেশিক বিনিয়োগ ও সহায়তার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। অনেকে বলছেন, পাকিস্তানের এই দুঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়াতে চাচ্ছে ইরান। যদিও এখানে উভয় দেশেরই স্বার্থ রয়েছে। সোমবার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে পাকিস্তানে যান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরই মধ্যে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন রাইসি।
এদিকে ইরানের ভূখণ্ডের ওপর আবারও কোনো হামলা হলে ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মঙ্গলবার পাকিস্তান সফরের দ্বিতীয় দিনে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এমন হুঁশিয়ারি দেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, যদি ইসরায়েল আবারও ইরানের ওপর হামলা করে তাহলে ইসরায়েল আর থাকবে না। যদি ইসরায়েল আরেকবার ভুল করে তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে।