‘রাজশাহী এলাম, আর কলাই রুটি খাব না, তা তো হয় না। এবারও কলাই রুটি খাবো।’ মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর সড়ক ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন কথাই বলেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে কখন তিনি কলাই রুটি খেতে যাবেন, তা জানান নি।
বুধবার সকালে প্রাতঃভ্রমণের পরই কলাই রুটির টানে রাজশাহী সার্কিট হাউসের কাছে শিমলা পার্ক এলাকার কলাই রুটির দোকানে যান ওবায়দুল কাদের। সেখানে পদ্মা পাড়ের খুব সাধারণ একটা রুটির দোকানে বসেই মন্ত্রী তার কলাই রুটি ও বেগুন ভর্তা খাওয়ার খায়েস মেটান। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে রাজশাহী এসে মন্ত্রী সেখানেই কলাই রুটি দিয়ে সকালের নাস্তা করেছিলেন।
বুধবার মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামাউন ইসলাম। তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে মন্ত্রী পর্যটন মোটেল থেকে বের হয়ে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় হাঁটতে যান। সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে তিনি গাড়ি চড়ে নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকা ঘুরে আসেন। সেখান থেকে সোজা চলে যান সেই রুটির দোকানে।
রুটির দোকানী মিনা বেগম জানান, এরআগে মন্ত্রী যখন তার দোকানে রুটি খেতে গিয়েছিলেন, তখন তিনি প্রথমে তাকে চিনতে পারেননি। পরে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন। তবে বুধবার তিনি মন্ত্রীকে দেখামাত্রই চিনে ফেলেন। মন্ত্রী বেগুন ভর্তা দিয়ে তার হাতে বানানো একটি কলাই রুটি কিনে খান। ততক্ষণে আশপাশের অনেক মানুষ এসে ভিড় জমান তার দোকানে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুটি খেতে খেতে মিনা বেগম এবং তার স্বামীর সঙ্গে কয়েকটি ছবিও তোলেন। পরে ওই ছবিগুলো মন্ত্রী তার ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন। সেসব ছবিতে দেখা যায়, ট্রাউজার ও টি-শার্ট পরে খুব সাধারণ বেশে মন্ত্রী মিনার দোকানে যান। তার পায়ে ছিল একজোড়া কেডস। কয়েক ঘণ্টায় ওই ছবিগুলো লাইকের বন্যায় ফেসবুক ভাইরাল হয়ে যায়।