দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ১ নম্বর আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোট গণনার পর দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহত মোহাম্মদ আলী (৭০) উপজেলার সিঙ্গুল ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মাবুদ বক্সের ছেলে। তিনি নির্বাচনে বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী (টিউবওয়েল) জোবায়দুর রহমানের চাচা।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চৌরঙ্গীবাজার এলাকায় সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬৭ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ আরও তিনজন ও চার পুলিশ সদস্য আহতের তথ্য পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানে আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের সামনে চেয়ারম্যান প্রার্থী লিটন আলীর সমর্থকরা জমায়েত হতে শুরু করেন। এসময় তাদের বেশ কয়েকবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬৭ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ ও চার পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ আলীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মোহাম্মদ আলী ওই ইউনিয়নের সিঙ্গুল ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ বকস্ টিনার ছেলে। অন্যান্য আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ইফতেখার আহমেদ জানান, সংঘর্ষের সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৬৭ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। চার পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।