• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ন

আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে নির্জনে নিয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরী কে ধর্ষণ

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

বগুড়া প্রতিনিধি : অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার পথে শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাকিব হাসান (২১) নামের এক ডেকোরেটর শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৮ এপ্রিল) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার রাকিব গাবতলী উপজেলার বাঘবাড়ি গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে। তবে তিনি শাজাহানপুরের দড়িনন্দগ্রামে থাকেন। শনিবার দিবাগত রাতে তাকে বাঘবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বগুড়া পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নওগাঁ জেলার বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোর স্বামী ও নানীর সঙ্গে বসবাস করেন। ছোট থাকতেই পারিবারিক কলহের জেরে তার মা ও বাবার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। এরপর তার মায়ের অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় ঢাকায় বসবাস করেন। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে দেখার জন্য শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ওই কিশোরী বাসে করে নওগাঁ থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় তার স্বামী বগুড়ায় নেমে বাড়ি ফিরে আসতে বলেন।

সে স্বামীর কথামতো রাত পৌনে ৯টার দিকে বগুড়ার ঠনঠনিয়া বাসট্যান্ডে নেমে পড়ে। তবে কোনো কিছু না চেনায় সে অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। এসময় ঠনঠনিয়া এলাকায় থাকা রাকিব বিষয়টি বুঝতে পরে ওই কিশোরীকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। একপর্যায়ে বিশ্বাস যোগাতে নিজ মুঠোফোন থেকে তিনি কিশোরীকে তার মায়ের সঙ্গেও কথা বলিয়ে দেন।

পরে রাত হওয়ার অজুহাতে নওগাঁগামী বাস এখন পাওয়া যাবেনা বলে বোঝাতে থাকেন। পরে রাকিব ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে নেওয়া কথা বলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে শাজাহানপুরের বড়চাইন্দা গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর কিশোরীকে ধর্ষণ করে রাকিব পালিয়ে যান। পরে কিছু যুবক ওই পথে চলাচলের সময় ওই কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় থানা-পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ও অভিযুক্ত রাকিবকে শনাক্তে অভিযানে নামে। তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় রাকিবকে শনাক্তের পর শনিবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, নিজ মোবাইল ফোন থেকে রাকিব ওই কিশোরীর মাকে কল করায় তাকে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় শনাক্ত করা হয়। তবে মোবাইল নম্বর নিবন্ধন করার সময় ভুয়া এনআইডি ব্যবহার করায় গ্রেপ্তারে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর রাকিব প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় কিশোরীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ