• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ অপরাহ্ন

টাঙ্গাইল একটি ইটভাটাকে ৩লাখ টাকা জরিমান

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
৮টিতে উচ্চ আদালতে রীট মামলা চলমান থাকায় জরিমানা করা সম্ভব হয়নি

 টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল মির্জাপুর উপজেলায় গত সোমবার (২৯ এপ্রিল’২৪) উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয় এর যৌথ উদ্যোগে মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান এর নেতৃত্বে পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন মোট ৯টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

মেসার্স লিজা ব্রিকসকে অভিযানে ৩লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয় এবং তাৎক্ষণিক আদায়ও করা হয় এবং ইটভাটার কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। মেসার্স ছিবার উদ্দিন ব্রিকস কর্পোরেশন, মেসার্স এস বি এম এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স এইচ বি এম এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স কলিমউদ্দিন ব্রিকস, মেসার্স সান ব্রিকস, মেসার্স কে বি এম ব্রিকস, মেসার্স হাজী ব্রিকস এন্ড এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স এ এম বি এন্টারপ্রাইজ, মোট ৮টি ইটভাটায় উচ্চ আদালতে রীট মামলা চলমান থাকায় জরিমানা করা সম্ভব হয়নি।

এ সময় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩, (সংশোধিত)-২০১৯ অনুযায়ী ইটভাটা পরিচালনা এবং অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য মালিকগণকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। উক্ত অভিযানে প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন অত্র কার্যালয়ের পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সূত্রধর। পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক সজীব ঘোষ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, পরিবেশ সুরক্ষায় টাঙ্গাইল জেলার অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

অভিযান চলাকালে অত্র কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তুহিন আলম এবং পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। মানুষ্য সৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয়ের কারনে বর্তমান সময়ে চলমান তাপদাহের সার বিশ^ যে পরিমান মূল্য দিচ্ছে, সেই ক্ষেত্রে মাহামান্য উচ্চ আদালত ইটভাটার মামলার বিষয়টি দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ করেছেন রাষ্ট্রীয় সুশীল সুধীজনেরা।

টাঙ্গাইল জেলায় সর্বোমোট ২৪৫টি ইট ভাটা থাকলেও প্রায় ১১৭টি ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র থাকলেও পুরোপুরি সকল কাগজপত্র সঠিক নেই। ভৌগলিক অবস্থান ও বিভিন্ন বিষয় ভেবেচিন্তে একটি জেলায় ২৪৫টি ইটভাটা ও বাংলাদেশের জন্য কতটা সঠিক তা রাষ্ট্রে সুধীজনেরা ভেবে পাচ্ছেন না।
সুধী সমাজের জনগণ আরও জানান যে, বিভিন্ন অসাধু পন্থায় ও বেআইনীকে ফাঁকফোঁকড়ে টেনে এনে আইন বলে দাঁড় করানোর জন্য, রাষ্ট্র ও জনগণ চরম মূল্য দিচ্ছেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ