• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন

পণ্যে ভেজাল মেশানো হারাম

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪

পণ্য সামগ্রীতে যেকোনো ধরনের ভেজাল মেশানো দেশীয়, সামাজিক এবং ইসলামী শরিয়তেও অপরাধ হিসেবে গণ্য। পণ্যে শুধু বর্জ্যপদার্থ, ভিনজাতীয় পদার্থ বা বিষ মেশানোকেই ভেজাল বোঝায় না।

বরং ব্যবসাজনিত কর্মকাণ্ডের যাবতীয় লেনদেনে বস্তুর দোষত্রুটি গোপন করা, ওজনে কম দেওয়া, অসত্য তথ্য দেওয়া, ধোঁকা দেওয়া, নিম্নমানের পণ্য মিশিয়ে দেয়া, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করা ইত্যাদিও ভেজালের অন্তর্ভুক্ত।
ইসলামে সব ধরনের ভেজাল-মিশ্রণ হারাম বা নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে আহলে কিতাবরা! কেন তোমরা জেনে-শুনে সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে সংমিশ্রিত করছো এবং সত্যকে গোপন করছো।

‘ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ৭১)
পণ্যে ভেজাল মিশ্রণ করে ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করা সম্পূর্ণ অনৈতিক। ইসলামে সব ধরনের প্রতারণা নিষিদ্ধ। আবু হুরায়রাহ (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.) বাজারে খাদ্য স্তুপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। খাদ্য স্তুপের ভেতরে হাত দিয়ে দেখলেন ভেতরের খাদ্যগুলো ভেজা। বিক্রেতার কাছে তিনি জানতে চাইলেন, এমনটি কেনো করা হলো বিক্রেতা বললেন, আল্লাহর রাসুল! বৃষ্টিতে এগুলো ভিজে গেছে। তখন রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে তুমি খাদ্যগুলো উপরে রাখনি কেনো যাতে মানুষ দেখতে পেত। এরপর রাসুল (সা.) বললেন, যে ব্যক্তি প্রতারণা করবে, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। (মুসলিম, হাদিস নং ১০২)

অন্য হাদিসে ব্যবসায়ীকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, ‘যদি তোমার পণ্যদ্রব্যে কোনো দোষ-ত্রুটি থাকে, তবে তা কখনো গোপন করবে না। কারণ, তা গোপন করলে ব্যবসায় বরকত হয় না। ’ (বুখারি ও মুসলিম)।

আরেক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম করে পণ্য বিক্রি করে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে ফিরেও তাকাবেন না। ’ (সহিহ বুখারি)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ