জামালপুর সদর উপজেলার একটি ভোট কেন্দ্র থেকে মো. জাহিদুল ইসলাম নামে এক পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উপজেলার কেন্দুয়া এলাকায় বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের গোপন কক্ষে ঢুকে ওই পোলিং অফিসার ভোটারকে বিভ্রান্ত করায় এবং ভোটার তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে না পারায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১০টার দিকে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ২নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে প্রিজাইডিং অফিসার কোরবান আলী ওই পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করে নেন।
প্রত্যাহার হওয়া পোলিং অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম নান্দিনা পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ভোটারদের অভিযোগ, ওই পোলিং অফিসার গোপন কক্ষে ঢুকে তাদেরকে বিভ্রান্ত করায় তারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি।
এ ঘটনার পর প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ভোটাররা। শেখ ফকরুল হুদা নামে এক ভোটার প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রশ্ন করেন, আমার ভোটের কী হবে। কিন্তু তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
এ প্রসঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসার কোরবান আলী বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। তবে কোনো বিশৃঙ্খলা হওয়ার আগেই দ্রুত সময়ের মধ্যে পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জামালপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে মোট ভোটার পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ৪৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৯ হাজার ৮শ ৭০ জন এবং নারী ভোটার ও ২ লাখ ৮১ হাজার ৫ শ ৭৮ জন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৬৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৪টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
আর এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, এক হাজার ২২ জন পুলিশ, তিন হাজার ৪শ ছয়জন আনসার সদস্য এবং বিজিবি ও র্যাবের সমন্বয়ে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।