উখিয়ার পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু কোনাপাড়া জিরো লাইন এলাকায় স্থল মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে হতাহতের কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (১৪-মে) রাত ১০টার দিকে স্থল মাইন বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে তুমব্রু বাজার। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ও সচেতন মহলের ধারণা, চোরাকারবারিদের চোরাইপণ্য আনতে বা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের টহল দলের সদস্যদের পা লেগে এ মাইন বিস্ফোরিত হয়েছে। স্থল মাইনটি মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি বসিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, বর্তমানে এ পয়েন্টটি বিদ্রোহী আরাকান আর্মির দখলে। বিজিপির কাছ থেকে দখলে নিয়ে তারা নিয়মিত টহল দেয়।
গত ৪-মে-২০২৪ তারিখে দু’জন ও ৫-মে-২০২৪ সকালে ফুলতলী ৪৭ নং পিলার সংলগ্ন এলাকায় একইভাবে স্থল মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়। দু’দিনে মোট ৫ জন স্থল মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়। গত ৫-মে তারিখে আহতদের মধ্যে দু’জনের পা হাটুর নিচ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহতরা হলেন দুই সহোদর মো: রশিদ উল্লাহ ও মো: মফিজ উল্লাহ এবং অপরজন মো: আবদুল্লাহ। সকলেই কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
অন্যদিকে শনিবারে আহত দু’জন হচ্ছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জারুয়াছড়ি গ্রামের জনৈক মৃত মোহাম্মদের ছেলে নুরুল আবসার (১৮) ও একই ইউনিয়নের কম্বনিয়া গ্রামের আলী আহমদের ছেলে মো: বাবু(১৭)।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবসার বলেন, ‘আহতরা সকলেই গরু পাচার চক্রের সাথে জড়িত বলে স্থানীয় ভাবে জানা গেছে। সীমান্ত বিরোধ ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে সীমান্ত এলাকায় কেউ যাতে শুন্য রেখা অতিক্রম না করে এ ব্যাপারে জোরালো নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরেও দুষ্কৃতকারীরা তা না মেনে ঐপারে গমন করায় এহেন মর্মান্তিক ঘটনার জন্ম হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক জনক’।