গাজীপুরের শ্রীপুরে ভোটকেন্দ্রে দ্বন্দ্বের জেরে কিশোর গ্যাংয়ের গুলিতে ফরিদ (২১) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা তেলিহাটি ইউনিয়নের মূলাইদ গ্রামের মাটির মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফরিদ উপজেলার উচিলাব গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে। তিনি শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধ রহমত আলী সরকারি কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্র।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় সাকিব মারুফদের সঙ্গে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তেলিহাটি ইউনিয়নের আনসার টেপিরবাড়ী ভোটকেন্দ্রের সামনে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ভোটকেন্দ্রের পুলিশ এগিয়ে এলে যুবকরা চলে যায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই যুবকরা ফরিদের ওপর হামলা চালায় এবং গুলি করে। ফরিদ গুলিবিদ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাওনার স্থানীয় হাসপাতালে পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে শ্রীপুর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদের বন্ধু সুমন মিয়া অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বন্ধুদের সঙ্গে ফরিদ শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটী ইউনিয়নের মুলাইদ মাটির মসজিদ এলাকায় আসেন। সেখানে পৌঁছালে ৫০-৬০ জনের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে। একটি গুলি ফরিদের শরীরে লাগে। পরে গুলিবিদ্ধ ফরিদকে পিটানো হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
সুমন দাবি করেন, হামলায় নেতৃত্ব দেন মামুন ফকির। ওই দলে আরও ছিলেন সাকিব, মারুফ ও মাহফুজ। হামলার সময় সাকিব গুলি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, ‘মৃত অবস্থায় ফরিদকে হাসপাতালে আনা হয়। ফরিদের সঙ্গে যারা ছিলেন তারা জানিয়েছেন, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু আমরা দুইটি আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। বাঁ চোখ ও বাঁ হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন কিনা তা এ মুহূর্তে বলতে পারছি না।
শ্রীপুর থানার ওসি আলী আকবর খান জানান, দুই পক্ষের বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।