ইতিহাস গড়লো আফগানিস্তান। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গেলো রশিদ খানের দল। বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করলো আফগানরা। পরিবর্তিত লক্ষ্য ১১৪ রানও করতে পারলো না টাইগাররা। অলআউট হলো ১০৫ রানে।
বাংলাদেশকে হারানোর সঙ্গে সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকেও সুপার এইট থেকে বিদায় করে দিলো আফগানিস্তান। অথচ সেমি সেমিতে ওঠার দারুণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশেরও। সুযোগটা নিতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
২০২৩ বিশ্বকাপেও প্রায় সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছিলো আফগানিস্তান। তবে শেষ মুহূর্তে ৬ষ্ঠ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। এবার এক বছর পর ঠিকই সেমিফাইনালে উঠে আফগানিস্তান বুঝিয়ে দিলো, ক্রিকেটে তারা কতদূর এগিয়ে গেছে।
এবারের বিশ্বকাপের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডকে ৭৫ রানে অলআউট করে তেমন কিছুর ইঙ্গিত দিতে শুরু করে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারলেও সুপার এইটে উঠতে সমস্যা হয়নি। সুপার এইটে ভারতের কাছে হারলেও অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়েই সেমির সম্ভাবনা জোরালো করে তারা। এবার বাংলাদেশকে হারিয়ে স্বপ্ন সত্য করলো রশিদ খানের দল।
সেমিতে যেতে হলে ১২.১ ওভারে আফগানদের করা ১১৫ রানের চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিতে হবে। শুরুটাও তেমন মারমুখি করেছিলো বাংলাদেশ; কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে ব্যাটাররা পারলেন না বিগ শট খেলতে। পারলেন না দ্রুত রান তুলতে। যার ফলে ১২.১ ওভার কিংবা ১৩ ওভারের মত জয়ও হলো না টাইগারদের।
সুপার এইটের প্রথম দুই ম্যাচ বাজে খেলেও সেমিফাইনালে ওঠার দারুণ সুযোগটা পেয়েও কাজে লাগাতে পারলো না টাইগাররা। তানজিদ তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয় কিংবা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- কেউই আফগান বোলারদের সামনে একটু বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারলেন না।
একপ্রান্তে লিটন দাস দাঁড়িযে থেকে বেশ ভালোভাবে চেষ্টা করেছিলেন রানকে এগিয়ে নিতে। কিন্তু লাভ হয়নি। অন্যদের ব্যর্থতায় সেমিতে ওঠা হলো না।
শুধু ১২.১ ওভারে জয়ই নয়, ম্যাচটাই জিততে পারলো না শেষ পর্যন্ত। মাঝে দু’বার বৃষ্টির কারণে এক ওভার কেটে ১৯ ওভারে ১১৪ রানের লক্ষ্য দেয়া হয়। ১৭.৫ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে।
বাংলাদেশের ওপেনিংয়ের সমস্যা কাটছেই না। একজন ব্যাটারও ছন্দে নেই। লিটন দাস, সৌম্য সরকারের কথা বলা হয়, তারা ফর্মে নেই।
কিন্তু যে তানজিদ হাসান তামিমের ওপর আস্থা রেখেছিলো টিম ম্যানেজমেন্ট, সেই তামিমই একের পর এক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। আবারও শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে এ নিয়ে তিনবার শূন্য রানে আউট হলেন এই তরুণ ওপেনার।