বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে তোপের মুখে পড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের নানান স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে সংখ্যালঘুদের বাসস্থান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
যেসব সংখ্যালঘুরা হামলার শিকার হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ধর্মীয় কারণে নয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন তারা।
এদিকে ভারতের বেশ কিছু মিডিয়া এই ইস্যুটি নিয়ে ব্যাপকভাবে ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার যেসব ছবি এবং ভিডিও দেশটির বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে, তার বেশির ভাগই ভুয়া।
শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজের এক কর্মসূচিতে ছাত্র হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য দেন অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। অথচ ভারতীয়রা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ‘সাহায্যপ্রার্থী হিন্দু নারী’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করছে।
ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বাঁধন ও সালমান মুক্তাদির কথা বলেছেন। এবার এ প্রসঙ্গে সরব হলেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। গত ১৩ আগস্ট একটি পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছেন তিনি।
পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিল বাঁধন, অথচ একটি এক্স আইডিতে তাকে সাহায্যপ্রার্থী হিন্দু নারী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। সার্কাস। আপনাদের পরিস্থিতি আরেকটু ভালোভাবে বোঝানোর জন্য বলছি, বাঁধনের পেছনে চশমা পরা যে লোকটি দাঁড়িয়ে আছেন, পিপলি আর খান নামে সে ব্যক্তি হাসিনাকে নিয়ে একটি সিনেমাও বানিয়েছিলেন। আন্দোলনে তিনিও শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি আরও লেখেন, প্রথম দিন থেকেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবং (ভারতের) সামাজিকমাধ্যমের একটি অংশ জনতার বিপ্লবকে ইসলামপন্থীদের আন্দোলন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে, এটা স্রেফ মিথ্যাচার।
সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন, সে (শেখ হাসিনা) একজন অত্যাচারী। শশী থারুর ঠিক বলেছেন যে, তার সময় শেষ হয়ে গেছে। তার হাত রক্তে রঞ্জিত। এই সুযোগে ভারতের উচিত ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তারা এখনও সে চেষ্টা করেনি।