তীব্র গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্রমাগত মামলার ধারাবাহিকতায় ঢাকায় আরও দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে ডিএমপির মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানায় ট্রাক চালক সুজন হত্যা ও আদাবর থানার মামলায় পোশাকশ্রমিক রুবেল হত্যায় শেখ হাসিনাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন ও আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম নিজ নিজ থানায় মামলা দুটির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদপুর থানার মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৭৯ জন ও অজ্ঞাতনামা ৪৫০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন নিহত সুজনের ভাই রফিকুল ইসলাম।
মামলায় ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ এ আরাফাত, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আসাদুজ্জামান খান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্রে রফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, আসামিদের নির্দেশনায়, পরিকল্পনায় এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে গত ২০ জুলাই বছিলায় শান্তিপূর্ণ মিছিল গুলি করা হয়। এতে তার ভাই ট্রাকচালক সুজন আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আর আদাবর থানায় পোশাকশ্রমিক রুবেলকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে। অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগপত্রে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতায় কেউ মিছিলে গুলি ছুড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট তিনি মারা যান।