রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সীমা আক্তার (২৭) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী মারা গেছেন। মারা গেছে তার পেটের সন্তানও।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ীর শহীদ জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নিহত সীমার বাবা মুলাই কাজী বলেন, আমার মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। মঙ্গলবার রাতে ওর বাসায় এক দুর্বৃত্ত ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই রাতেই চিকিৎসকরা সিজার করলে সন্তান জন্ম দেয় সীমা।
তিনি বলেন, সদ্যভূমিষ্ঠ আমার নাতির বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তখন চিকিৎসকরা শিশুকে নবজাতক কেয়ার নিতে বলেন। ঢাকা মেডিকেলে শয্যা ফাঁকা না থাকায় অন্য হাসপাতালে নিতে নিতে রাতেই শিশুটি মারা যায়। পরের দিন বিকেলে আমার মেয়েরও মৃত্যু হয়।
মুলাই কাজী আরও বলেন, ওই সময় বাসায় আমরা কেউ ছিলাম না, শুধু সীমা আর তার চার বছরের সন্তান ছিল। ওই যুবককে আমার মেয়ে চিনতে পারেনি।
সীমার স্বামী মো. জুয়েল বলেন, আমার কোনো শত্রু ছিল না। সীমা বারবার বলেছিল ওর পেটে বাচ্চা আছে। তবুও কেন মারল তাকে, আমি এর বিচার চাই।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত জানান, দুজনের মরদহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।