• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন

নিজেকে উপদেষ্টা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহবান ফারুকীর

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি : সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদের সুরে কথা বলেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই তাদের সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন তিনি। এবারও নিজেকে উপদেষ্টা বানাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এ নির্মাতা।

বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন ফারুকী।

ফারুকী লেখেন, আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি আওয়ামী প্রোপাগান্ডু লীগ যেভাবে আমার ব্যাপারে তাদের ক্ষোভ জানাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের পতনে আমার বিশাল ভূমিকা আছে। সুতরাং ‘ফ্যাসিবাদের পুচ্ছে আগুন’ কোটায় আমাকে উপদেষ্টা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

পাঠকদের জন্য মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি আওয়ামী প্রোপাগান্ডু লীগ যেভাবে আমার ব্যাপারে তাদের ক্ষোভ জানাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের পতনে আমার বিশাল ভুমিকা আছে। সুতরাং ‘ফ্যাসিবাদের পুচ্ছে আগুন’ কোটায় আমাকে উপদেষ্টা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

ওদের বুদ্ধি যদিও খুলবে না, তবুও একটু বলি।

১. ওহে, আমি কোনো রাজনৈতিক কর্মী না। আমি আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবারই ভালো কিছুর প্রশংসা এবং খারাপ কাজের নিন্দা করতে পারি। ২. ফ্যাসিবাদের কালে যেহেতু এই দেশেই থাকতে হইছে, ফলে আমাদের বেঁচে থাকা ছিলো বড় কৌতুকময়। সৌভাগ্য হোক দুর্ভাগ্য হোক, রাডারের নিচে থাকার কারণে নানা কায়দা কানুন করে বেঁচে থাকতে হইতো। সরকারের সমালোচনা করে একটা পোস্ট দিলে তিনটা দিতে হইতো প্রশংসা করে। আবার সমালোচনারও কিছু প্যাটার্ন আছে। প্রধানমন্ত্রীকে বাইরে রেখে অন্যদের সমালোচনা করতে হইতো। তারপর ধরেন, আপনার সিনেমা আটকে যাবে যেটা আটকানোই অন্যায়। সেই সিনেমা ছাড়ানোর জন্য তদবীর করবেন। এবং ছাড়ানোর পর ধন্যবাদ দিবেন। নানাবিধ কৌতুকময় ছিল এই জীবন। সামনে আমার কাজে এইসবের ছাপ দেখবেন অল্প বিস্তর।

৩. ওরাও জানে ওদের লুটপাট, টেন্ডার বানিজ্য, চুরি চামারি, ব্যবসা কোনো কিছুর সাথেই আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। কিন্তু আমাদের ওপর রাগ আছে। কেনো আমরা ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলনে নামলাম- এই ক্ষোভ বড় গভীর। এই ক্ষোভ ঢালার জন্য এখন ওদের কষ্ট করে আমার টাইমলাইনের ওপর পিএইচডি করতে হচ্ছে। কিন্তু ওদের নিজেদের জন্য ভালো হবে এইসবে সময় ব্যয় না করে, আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটা। আর বাংলাদেশের করণীয় হচ্ছে মানবতা বিরোধী অপরাধ আর সীমাহীন লুটপাটের বিচার করা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ