তেল আবিবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দ্রুতই ইরানে হামলা চালাতে ‘জবাব প্রস্তুত’ বলে জানিয়েছে ইসরাইল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের ইরানি হামলার প্রত্যুত্তরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। এমন আবহে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, ইসরাইল যদি কোনো জবাব দিতে চায়, সেক্ষেত্রে তেহরানের প্রতিক্রিয়ার আরও শক্তিশালী হবে।
শনিবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন আরাগচি। খবর মেহর নিউজের।
দামেস্ক সফরে আরাগচি প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বাশার আল আসাদ সরকার মধ্যপ্রাচ্য ইরানের পুরোনো নির্ভরযোগ্য মিত্র। ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহও আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ইরানের কাছ থেকে অনেক বছর ধরেই আর্থিক ও সামরিক—উভয় দিক থেকে জোরালো সমর্থন পেয়ে আসছে হিজবুল্লাহ।
মূলত সিরিয়া সফরে আরাগচি সিরিয়ার কর্মকর্তাদের সাথে চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে দামেস্কে যান।
ইসরাইলের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে আরাগচি বলেন, ‘ইসরাইলের যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিক্রিয়া আরও শক্তিশালী এবং কঠোর হবে। তারা আমাদের ইচ্ছার পরীক্ষা করতে পারে’।
ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক আরো বলেন, ‘আমরা দামেস্কে প্রেসিডেন্ট আসাদের সাথে গঠনমূলক আলোচনা করেছি এবং ইসরাইলি আগ্রাসন মোকাবিলা চালিয়ে যেতে একমত হয়েছি’।
‘দামেস্ক এবং বৈরুতে আমার সফরের বার্তা হল ইরান যেকোন পরিস্থিতিতে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাশে থাকবে’।
গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে অন্তত ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড ও ইসরাইলি বাহিনীর তৎপরতায় এগুলোর বেশির ভাগই আকাশে ধ্বংস হয়। কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়।
এর আগে শুক্রবার বৈরুত সফরে যান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরান এবং হিজবুল্লাহর যখন পাল্টাপাল্টি হামলার বিরাজ করছে তখন মধ্যপ্রাচ্যে সিরিজ সফরে বেরিয়েছেন তিনি