• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

তথ্য পেলেই ওবায়দুল কাদের-নানক ও হারুনকে গ্রেপ্তার করবে র‌্যাব

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন দলটির অনেক নেতাকর্মী এমনকি সাবেক সরকারপন্থি সরকারি কর্মকর্তারা। কেউবা দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন। আবার অনেককেই গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে, এখনো অধরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আলোচিত সাবেক ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশীদ। তারা পালিয়ে গেছেন নাকি দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত নয়। তাদের বিষয়ে তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)।

রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও হারুন অর রশীদের মতো বিতর্কিতদের র‌্যাব কেন এখনও গ্রেপ্তার করতে পারছে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে। তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে র‌্যাবের ভূমিকা জানতে চাইলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ আগস্ট পরে এখন পর্যন্ত র‌্যাব এক হাজার ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে রয়েছেন বিগত সরকারের উচ্চপর্যায়ের ৩৯ জন। পাশাপাশি অস্ত্রহাতে ছাত্র-জনতার ওপর গুলির ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, র‌্যাব নেতৃত্বস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায়ের অনেককেই গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া, বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। কেউ যদি কোনো তথ্য পান তাহলে র‌্যাবকে দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র‌্যাব সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে।

পুলিশের ৯০ জনের বেশি কর্মকর্তা এজাহারভুক্ত আসামি। র‌্যাবের কোনো সদস্যকে আসামি করা হয়েছে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, র‌্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যাননি। অন্যান্য বাহিনীতে হলেও র‌্যাবের কোনো সদস্য কর্মবিরতিতে যাননি।

তিনি বলেন, আটটি বাহিনী থেকে র‌্যাবে সদস্য আসে। র‌্যাবের ১০ হাজার সদস্যের মধ্যে প্রায় ৪৪ শতাংশ পুলিশ বাহিনী থেকে আসে। কিন্তু র‌্যাবে কোনো সমস্যা ছিল না। ছাত্র-জনতার ওপর র‌্যাব কখনোই মারণাস্ত্র-গুলি ব্যবহার করেনি। র‌্যাব ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে ছিল এবং অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ