বাংলাদেশে নিযুক্ত রিপাবলিক অব কোরিয়ার অ্যাম্বেসডর পার্ক ইয়ং সিক এবং ডেপুটি চিফ মিশন মিস ঝিনহি ব্যাক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় পরিদর্শনকালে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত। সাক্ষাৎ শেষে তারা দেশবাসীর উদ্দেশে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন।
আমিরে জামায়াত বলেন, আমরা দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও কীভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারেও আমরা উভয়েই আমাদের অভিমত ব্যক্ত করেছি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সম্প্রতি দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে এবং একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে এ দেশের গণমানুষের যে লড়াই সাড়ে ১৫ বছর ধরে চলে আসছিল, সেই লড়াইয়ের পরিসমাপ্তিলগ্নে আমাদের দেশের ছাত্র ও যুব সমাজ কোটাবিরোধী যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, সেই আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকার এক কুৎসিত পথ অনুসরণ করেছিল। অসংখ্য মানুষের জীবনের বিনিময়ে, হাজারো মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে এবং দেশে প্রবাসে একই সাথে লড়াইয়ের বিনিময়ে এই জাতি সাময়িকভাবে মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশকে কীভাবে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায় এবং বাংলাদেশের জনগণের উন্নতি, নিরাপত্তা ও অগ্রগতি নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে তারা কীভাবে কাজ করতে পারেন বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং রিপাবলিক অব কোরিয়া এক্ষেত্রে তাদের পার্টনারশিপ আরও কীভাবে উন্নত করতে পারেন এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
জামায়াত আমির বলেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র কীভাবে সহযোগিতা করতে পারেন, সে বিষয়ে আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এ ব্যাপারে তারা আমাদের আশ্বস্ত করছেন। এই মুহূর্তে তাদের এই সহযোগিতা আমাদের অত্যন্ত মৌলিক প্রয়োজন। কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের সততা ও দক্ষতা দিয়ে আরও কীভাবে অবদান রাখতে পারেন সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি এবং কোরিয়াতে বাংলাদেশিরা যেন আরও বেশি সংখ্যায় যেতে পারেন সে ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছি। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে, সন্তোষজনক হয়েছে। তারা বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তাদেরও কিছু কথা ছিল- সেগুলো আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনেছি এবং সে জায়গাগুলো আমরা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। আমাদের মনে হয়েছে যে, আমাদের কথায় তারা পুরোপুরি আশস্ত হয়েছেন।
আমিরে জামায়াত আরও বলেন, এ সফরকালে তারা বাংলাদেশের সমাজ ও সামাজিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।
এই সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।