বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সংগঠনটি মুসলমান উম্মাহর মধ্যে ইসলামি খিলাফত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনের জেরুজালেমের শরীয়াহ আদালতের বিচারপতি শায়েখ তাকিউদ্দীন আন-নাবহানী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা আরও কিছুসহ ৩২টি দেশে এটির কার্যক্রম রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে এই তথ্য জানান দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এ নিয়ে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও নিরাপদ অ্যাপ ব্যবহার করা এবং নির্দোষ যুবকদের সন্ত্রাসবাদের কাজে লিপ্ত হতে উৎসাহিত করার জন্য ‘দাওয়াহ’ মিটিং পরিচালনা করে সন্ত্রাসবাদ প্রচারের জন্য হিযবুত তাহরীরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে অমিত শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়নে হিযবুত তাহরীরকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আজ ঘোষণা করল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দলটি বেশ কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। যার মধ্যে রয়েছে যুবকদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগদানের জন্য মৌলবাদী করা, সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য তহবিল সংগ্রহ এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য একটি গুরুতর হুমকি তৈরি করা। মোদি সরকার শক্তহাতে সন্ত্রাসবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করে ভারতকে সুরক্ষিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গত ১৫ জানুয়ারি হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করে যুক্তরাজ্য। জার্মানি, পাকিস্তান, মিশর এবং মধ্য এশিয়া ও আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশেও এটি নিষিদ্ধ। ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নিয়ে লেবাননভিত্তিক সংগঠনটি ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।