গাজায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোকাবিলায় ইসরাইল সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা।
হামাসের লেবানন শাখার শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি ওসামা হামদান শনিবার কাতারের আল জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন।
হামদান বলেন, দখলদার বাহিনী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করতে না পারায় সাধারণ মানুষকে হত্যার চেষ্টা করছে। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোকাবিলার অজুহাতে ইসরাইল বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে।
এ সময় তিনি উল্লেখ করেন যে, ইসরাইল হামাসকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে গাজায় যে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে, যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ধ্বংস করা।
তবে সংগঠনটির মতে, ইসরাইলের সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। যদিও গাজায় ইসরাইলি আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৪২,২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ওসামা হামদান বলেন, দখলদার ইসরাইল এই যুদ্ধের পরে গাজার শাসন ব্যবস্থা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে হামাস সেই পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দিয়ে জানিয়েছে, ‘যুদ্ধের পরের দিন’ নামে ইসরাইলের পরিকল্পনা মূলত একটি হীন কৌশল, যার মাধ্যমে গাজার শাসন ব্যবস্থাকে তাদের অধীনে নিয়ে আসার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
হামাসের এই প্রতিনিধি আরও বলেন, ইসরাইল জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং সেখানে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এটি একটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
একই সঙ্গে, ইসরাইল গাজার উত্তরাঞ্চলে বিশেষভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে এবং সেখানে মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হামাসের মতে, ইসরাইলের এই অত্যাচারী নীতি কোনো সফলতা বয়ে আনবে না। হামদান তার বক্তব্যের শেষাংশে বলেন, ‘এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার ফিরে পাবে এবং স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করবে’।
গাজায় ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছে এবং অনেক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে। সূত্র: ইরনা