• শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন

রোমানিয়া থেকে ৯ মাসে ২৬৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪

এক ইমেইলে অভিবাসীভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনফোমাইগ্রেন্টসকে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই)-এর জনসংযোগ বিভাগ৷ আইজিআই জানায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯১৬ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷

ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের বেশিরভাগই অনিয়মিত উপায়ে রোমানিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে শেঙেন জোনে প্রবেশের চেষ্টা করে রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন৷ এছাড়াও অনিয়মিত উপায়ে দেশটিতে অবস্থান ও কাজে নিয়োজিতদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযান থেকেও অনেককে আটক করা হয়েছিল৷

অভিবাসীদের মধ্যে একটি অংশকে স্বেচ্ছায় ১৫ দিনের মধ্যে দেশ ত্যাগের নোটিশ দেয়া হয়েছিল৷ এই আইনি নোটিশ না মানায় সংশ্লিষ্টদের জোরপূর্বক তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে বুখারেস্ট কর্তৃপক্ষ৷

শীর্ষে দক্ষিণ এশিয়া

রোমানিয়া থেকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোদের মধ্যে শীর্ষে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। যাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৬৮ জন বাংলাদেশের, শ্রীলঙ্কার ১০৫ জন, নেপালের ১৪৮ জন, পাকিস্তানের ৮৯ জন এবং ভারতের ৪৮ জন৷

এছাড়া মিশরের ২৯ জন, মলদোভার ২৫ জন, তুরস্কের ২২ জন, ভিয়েতনামের ২২ জন, মরক্কোর ২০ জন এবং বাকিরা অন্যান্য দেশের নাগরিক বলে জানিয়েছে জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই)৷

বছরের প্রথম নয় মাসে সংগঠিত এসব ‘ডিপোর্ট’ কার্যক্রম কয়েক ধাপে সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷

যেসব অভিবাসীদের কাছে আটকের সময় কোনো পাসপোর্ট বা নথি পাওয়া যায় না তাদের ক্ষেত্রে স্বীকৃত রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশন বা কনস্যুলার অফিসের সহায়তায় বিশেষ অনুমতি পত্র নিয়ে রোমানিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হয়৷

অনিয়মিত অভিবাসীদের অনেকেই শেঙেন সীমান্তে প্রবেশের সময় তাদের সাথে থাকা সব নথিপত্র ফেলে দেন৷

রোমানিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করা ও দেশটিতে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের যাবতীয় আইনি কাঠামো একটি বিশেষ অধ্যাদেশ বা ওইউজির মাধ্যমে পরিচালিত হয়৷ এই অধ্যাদেশের ১৯৪/২০০২ ধারার সংশোধিত বিধান অনুযায়ী বিদেশিদের প্রবেশ, থাকার অধিকার এবং বাধ্যবাধকতাগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়৷

চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে ইউরোপের অবাধ চলাচলের শেঙেন জোনে আংশিক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে রোমানিয়া৷ যার ফলে শেঙেন প্রবিধান মেনে চলতে আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় অনিয়মিত অভিবাসনবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ৷


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ