• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
উত্তর কোরিয়াকে সৈন্যের বিনিময়ে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে রাশিয়া! তাপমাত্রা নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া নিয়ে যা অফিস রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে হবে: নুর ফ্যাসিবাদ কিভাবে হটাতে হয় বাংলাদেশের জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে: পিনাকী ইমরান খানের স্ত্রীর অভিযোগ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে, ভিন্ন কথা দলের মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো বসুন্ধরা কিংস ঘুষ প্রদানের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে আদানির বিরুদ্ধে পরোয়ানা, লাভ হবে বাংলাদেশের আমরাও একটি ব্যবসায়ী পার্টনার চাই ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস,  লেবানন থেকে ৮২ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন ঢাবিতে বিএনপির মহাসচিব- জামায়াত আমির ও আইন উপদেষ্টাকে জাতীয় ঘোষণা

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন মামুনুল হক

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হককে বেখসুর খালাস প্রদান করেছে আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময়ে মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রোমেল মোল্লা বলেন, মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। যার কারণে আদালত মামুনুল হককে নির্দোষ ঘোষণা করে বেখসুর খালাস প্রদান করেছে।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন। এই মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মামলার ধার্য তারিখ অনুযায়ী আজ মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। আদালত মামুনুল হককে বেখসুর খালাস প্রদান করেছেন।

এর আগে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে স্ত্রীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে। পরে এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনের অভিযোগে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এদিকে, চলতি বছরের ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে জামিন আবেদন করলে তৎকালিন বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে তিনি সোনারগাঁ থানার এই ধর্ষণ মামলায় জামিনে ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ