ছবি মুক্তি তো দূরের কথা, ভারতী সেন্সর বোর্ড (সিবিএফসি) এখনও ছাড়পত্র দেয়নি। এরপরও ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে দুই ভাগ ভারতের জনগণ। চলছে আলোচনা-সমালোচনা, ছবি মুক্তি ঠেকাতে দেওয়া হচ্ছে হুমকি, ধরা হচ্ছে পরিচালক-নায়িকার মাথার দাম। রাজনৈতিক নেতারা ছবিটি নিয়ে নানা রকম মন্তব্য করে চলছেন। তাই ১ ডিসেম্বর নির্ধারিত ছবি মুক্তির তারিখও পিছিয়ে গেছে
এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার ‘পদ্মাবতী’র বিদেশে মুক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে জনস্বার্থে করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি ছবিটি নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের এতো মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিমকোর্ট।
ব্রিটেনে ছবিটি ছাড়পত্র দিয়েছিল সে দেশের সেন্সর বোর্ড। কিন্তু রাজপুত সংগঠনের চাপে তাতে বাধা পড়েছিল। এদিকে ছবিটি মুক্তির বিষয়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে মনোহরলাল শর্মা নামের একজন আইনজীবী মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা মন্তব্য করেন, তাদের রাজ্যে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হলে আইনশৃঙ্খলা নষ্ট হবে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণিরও একই বক্তব্য। কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাবেও ছবিটির মুক্তি ঠেকানোর পক্ষে অনেক রাজনৈতিক নেতা। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার রাজ্য ‘পদ্মাবতী’কে স্বাগত জানিয়েছেন।
সুপ্রিমকোর্টের প্রশ্ন, একটা ছবি সেন্সরের ছাড়পত্র পাওয়ার আগেই রাজনৈতিক নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীরা সেটা নিয়ে এতো কথা বলছেন কেন? সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা আর রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিদের মন্তব্য করা এক বিষয় নয়।
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জানায়, ছবিটি এখন পর্যন্ত সেন্সরের ছাড়পত্র পায়নি। তার মানে এটি বিচারাধীন বিষয়ের মতো। মুক্তির আগেই নেতারা বলছেন, ছবির মুক্তি পাওয়া উচিত নয়। কেউ বলছেন, সেন্সর যেন না ছাড়পত্র দেয়। এটা তো বিচারের আগেই বিচার হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সেন্সরের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। তাদের এসব বক্তব্য তিরস্কার করে সুপ্রিমকোর্ট বলেন, উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা অন্তত সাধারণ আইনকানুন মেনে চলুন। টাইমস অব ইন্ডিয়া।