• বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশকে বকেয়া পরিশোধের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়নি: আদানি গ্রুপ

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশকে বকেয়ার সব অর্থ পরিশোধে কোনো ধরনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে আদানি গ্রুপের কোম্পানি আদানি পাওয়ার। একটি পিআর ফার্মের মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, আদানি সাত দিনের মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫ কোটি ডলারের পূর্ণ পেমেন্ট দাবি করেনি। বিষয়টির সমাধানে আদানি বাংলাদেশের পিডিবির সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।

রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করে, আদানি গ্রুপ বাংলাদেশকে বকেয়া পরিশোধের জন্য ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের কাছে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার পাবে। যা বাংলাদেশি অর্থে ১০ হাজার কোটি টাকার সমান।

 

এদিকে এই খবরের পর আদানি গ্রুপের পাওনা দ্রুত পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের আদানি গ্রুপ টাকা পায়— এটা সত্য। তাদের পেমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে গতি বাড়িয়েছি। যে বকেয়া বিল আছে, সেটার জন্য মূলত দায়ী পূর্ববর্তী স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগ। তারা বিশাল বকেয়া বিল রেখে গিয়েছিল, সেটার কারণে এটা বেড়ে গেছে।

 

শফিকুল আলম আরও বলেন, আদানি গ্রুপকে গত মাসে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করা হয়েছে। যেটা আগস্ট বা আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ। আমাদের তরফ থেকে সর্বোচ্চ পেমেন্ট আরও দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের রিজার্ভ বাড়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো রিজার্ভের হাত না দিয়েই করতে পারছি। পেমেন্ট ৭০০ মিলিয়ন ডলার বাকি আছে। সেটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে করে দিতে পারব।

এর আগে, আদানি গ্রুপ প্রথমে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। এ ছাড়া বকেয়া পরিশোধের নিশ্চয়তার জন্য তারা ১৭০ মিলিয়ন ডলারের লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) চেয়েছিল।

 

পিডিবি যদিও কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি ইস্যু করেছিল। কিন্তু এটি বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি অনুযায়ী ছিল না। এজন্য ডলার সংকটকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। এর পরপরই গত ৩১ অক্টোবর আদানি গ্রুপ তাদের ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ