ব্রিটেনের সিংহাসনের উত্তরসূরিদের তালিকার পঞ্চম স্থানে থাকা প্রিন্স হ্যারি আগামী বসন্তে বিয়ে করবেন। কনে মার্কিন অভিনেত্রী রেচাল মেগান মার্কেল। এ মাসের শুরুতে তাদের বিয়ের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। আর বিয়ে হবে আগামী বছর। প্রিন্স অব ওয়েলস ও ডাচেচ অব কর্নওয়ালের আনুষ্ঠানিক বাসভবন ক্ল্যারেন্স হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিয়ের তারিখ ও অন্যান্য খুটিনাটি যথাসময়ে জানান হবে।
রাজপরিবারের বিয়ে মানে বৃটেনজুড়ে আনন্দ উত্সব। সেই রঙ যেন ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের বাগদানের খবরে সয়লাব বৃটিশ মিডিয়া। আর রাজপরিবারের এই রাজকীয় বিয়েতে কী পরিমাণ খরচ হতে পারে তা নিয়েও মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। লন্ডনভিত্তিক বিয়ে পরিকল্পনাকারী প্রতিষ্ঠান এইমি ডুনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, এই বিয়েতে অন্তত সাত লাখ ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
কিন্তু তাদের সেই ধারণা থেকে যে বহুগুণ বেশি খরচ হবে সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ শুধু বাগদানের আংটির জন্যই খরচ হয়ে গেছে অন্তত তিন লাখ ৩৫ হাজার ডলার। আমান্দা উন্টার নামের একজন ডায়মণ্ড রিটেইলার বলেন, অন্তত ৩ লাখ ৩৫ হাজার ডলারের কম নয় আংটিটির মূল্য।
বিয়ের এই বিপুল পরিমাণ খরচ কে মেটাবেন তা নিয়েও মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। নিয়ম অনুযায়ী কনের পরিবারের পক্ষ থেকেই এই খরচ বহন করার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে এটি হয়ত হচ্ছে না। রাজকীয় বিয়ের খরচের দিকটি স্বভাবতই প্রিন্স চার্লসের ওপরই বর্তাবে। তারপরও মেগানের পরিবারের পক্ষ থেকে কী করা হয় সেদিকেও নজর থাকবে সাধারণ মানুষের।
রাজপরিবারের বিয়ে নিয়ে যারা নানা হিসাব নিকাশ করছেন তাদের ধারণা, বিয়ের হলরুম ভাড়া পরিশোধ নাও করতে হতে পারে। কারণ রাণী এলিজাবেথের মালিকানাধীন যে কোনো একটি প্রাসাদকেই বিয়ের ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে। বিয়েতে কয়েক শ’ অতিথি ছাড়াও নিরাপত্তার জন্য বিপুল পরিমাণ খরচ হবে। অনেকেই প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেটের বিয়ের সময় কতজন অতিথি নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল, কত খরচ হয়েছিল, কী পরিমাণ নিরাপত্তা কর্মী ছিল সেই সব পুরনো নথি ঘাঁটতে শুরু করেছেন।
উইলিয়াম-কেটের বিয়ের সঙ্গে হ্যারি আর মেগানের বিয়ের খরচের তুলনাও করতে শুরু করেছেন তারা। তবে যে যতই জল্পনা-কল্পনা করুক না কেন এই খরচ যে কয়েক মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। সিএনএন