বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যার দিকে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিওগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তাঁর সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটির মডেল বেল ২১২। হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।
দুই ব্লেডের মাঝারি আকারের হেলিকপ্টারটিতে ১৫টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে পাইলটের জন্য একটি আসন এবং যাত্রীদের জন্য বাকি ১৪টি।
তবে ফ্লাইট ক্রু এবং সম্ভাব্য নিরাপত্তা-কর্মীসহ রাইসিকে বহন করা হেলিকপ্টারটিতে ঠিক কতজন আরোহী ছিলেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
প্রেসিডেন্টের নির্বাহী বিভাগের ডেপুটি মোহসেন মানসুরি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টার এবং আরও দুটি কপ্টার তাব্রিজ শহরের পথে যাচ্ছিল। পরে প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর আজারবাইজানীয় প্রতিপক্ষ দুই দেশের সীমান্তে কিজ কালাসি বাঁধ উদ্বোধন করেন।
তাঁদের উড্ডয়নের আধা ঘণ্টার মধ্যে রাইসির হেলিকপ্টারটি অন্য দুটি কপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ওই দুটি হেলিকপ্টার অনুসন্ধান শুরু করে।
মানসুরি বলেন, প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গীর দুই সদস্য উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এতে বোঝায় যায় ঘটনা গুরুতর নয়।
তিনি বলেন, আরেকটি আশাব্যঞ্জক বিষয় হলো, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় দুই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে দুর্ঘটনার অবস্থান নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছে।
পূর্ব আজারবাইজানে বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার আসগর আব্বাসগোলিজাদেহের বরাত দিয়ে তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, হেলিকপ্টার এবং দুজন আরোহীর কাছ থেকে মোবাইল সিগন্যাল পেয়েছে সেনাবাহিনী। আসগর বলেন, আমরা সামরিক বাহিনীর সর্বশক্তি দিয়ে এখন ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আশা করি জনগণকে সুসংবাদ দিতে পারব।
এদিকে ইরানের সহায়তার অনুরোধের পর ইউরোপীয় কমিশন অনুসন্ধানের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে স্যাটেলাইট মানচিত্র পরিষেবা সক্রিয় করেছে।