চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি॥
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি’র কথামালা আর চাটুকা ছাড়া আগামী নির্বাচনে আর কোন পুঁজি নেই। যারা ৫বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলার জনগণ তাদের নির্বাচিত না করে যে দেশের নেত্রী ১০জনের মধ্যে সেরা একজন হয়েছেন তাঁর দলকে নির্বাচিত করবেন। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী আর চাঁদাবাজ তাদের আওয়ামী লীগের সদস্য পদ দেয়া হবে না। তরুণ ও নারীদের সদস্যপদ দেয়ার ব্রাপারে গুরুত্ব দেয়া হবে। কারণ তরুণ প্রজন্ম আরা নারীরা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে। আজ বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাগঞ্জ হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য পদ নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের একথাগুলো বলেন। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলের মধ্যে প্রার্থীতা থাকতে পারে। কিন্তু কেই অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকেই নৌকা মার্কায় মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষেই নির্বাচনে কাজ করতে হবে। আর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে প্রার্থীদের আমলনামা এবং এসিআর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা রয়েছে। তিনিই আমলনামা বিশ্লেষণ করে প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন। তিনি বলেন, দল ভারি করতে সাম্প্রদায়ীক শক্তি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ তথা খারাপ লোকদের দলে নিয়ে ত্যাগী কর্মীদের দূরে ঠেলে দেয়া হলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ আওয়ামী লীগের কোনপদ চিরদিনের জন্য কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে বিএনপি দূর্বল হলেও তাদের বাক্সে জামায়াতের ভোট যোগ হবে, তাই সমর্থকের দিক থেকে তারা দূর্বল নয়। দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণের মন জয় করে নেতা হতে হবে। জনগণকে অবমূল্যায়ন করে কেউ কোনদিন নেতা হতে পারেনি। তাই জনগণের কাছে নেতাদের ভুল স্বীকার করে কাজ করতে হবে। নারীর ক্শতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের ব্রাপক মূল্যায়ন করেছেন। ফলে নারীরা আজ ডিসি, এসপি, ডিআইজি, বিচারকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে চলেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন। আর ডিজিটাল বিপ্লব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে ডিজিটাল বিপ্লব সাধিত হয়েছে। আর ডিজিটাল বিপ্লবের নায়ক হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়। এদিকে মঞ্চে নেতাদের বিশৃংখলা দেখে ওবায়দুল কাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দলের মধ্যে আগে নেতাদের শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে হবে। নইলে কর্মীদের মধ্যে শৃংখলা থাকবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জে নেতাদের বিলবোর্ড আর ফেষ্টুন দেখে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, এই জেলায় আসার সময় পথে পথে নেতা, পাতিনেতা ও সিকি নেতাদের যে বিলবোর্ড ও ফেষ্টুন দেখলাম তাতে আমি লজ্জা পেয়েছি। কারণ সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ছোট করে দেয়া হয়েছে আর আমার ও নেতাদের ছবি বড় করে দেয়া হয়েছে। তিনি নেতাদের চাটুকারী না করার পরামর্শ দেন।