• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মাদরাসায় চলে যাওয়া ঠেকাতে হবে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে অনেক শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসায় চলে
যাচ্ছে জানিয়ে তা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।

তিনি বলেন, আমাদের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিবের সঙ্গে বিষয়টি আলাপ করছিলাম। দেখা যাচ্ছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে অনেক শিক্ষার্থী ড্রপআউট (ঝরে পড়া) হয়ে যাচ্ছে। তারা কোথায় যাচ্ছে? মাদরাসায়…বিশেষ করে কওমি মাদরাসায়।

সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, আমি বলছি না, মাদরাসায় পড়াশোনা ভালো না। শিক্ষার মান খারাপ, তা নয়। কিন্তু এ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। মানে তারা সাধারণ শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাজীবন শুরু করেছিল। তাহলে একটু বড় হয়েই তারা সাধারণ শিক্ষায় না থেকে মাদরাসায় চলে যাচ্ছে কেন? সেই কারণটা খোঁজা জরুরি।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, যারা সাধারণ শিক্ষা দিয়ে অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন প্রবেশ করছে, তারা যেন এখান (স্কুল-কলেজ) থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। কারণ চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

লটারির পদ্ধতি আপাতদৃষ্টিতে ভালো উল্লেখ করে শিক্ষাসচিব বলেন, পরীক্ষা বা মেধাভিত্তিক ভর্তি পদ্ধতি থাকলে অভিভাবকরা শিশু সন্তানকে নিয়ে কোচিংয়ে কোচিংয়ে ছুটতেন। আর্থিকভাবে যারা সামর্থ্যবান নয়, তারা ভালো স্কুলে পড়ার কথা চিন্তাও করতো না। আবার ভালো স্কুল, ভালো ছাত্র ছাড়া ভর্তি করতো না। ভালো শিক্ষকের কাছে শেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতো সমাজের মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুরা। এটা স্পষ্টই বৈষম্য। লটারির মাধ্যমে কিছুটা হলেও তা দূর হবে।’

তিনি বলেন, ‘ভালো স্কুল বলতে আমরা এখন কী বুঝি? যে স্কুলে শতভাগ পাস, শতভাগ জিপিএ-৫ পায়; সেটাকে ভালো স্কুল বলে থাকি। তাহলে সব স্কুল যদি এমন ভালো হতো, তাহলে আমাদের লটারি করার প্রয়োজন হতো না। সব অভিভাবক কয়েকটা স্কুলে ভর্তির জন্য হুমড়ি খেয়েও পড়তো না।

সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ‘তবে এটাও সত্য যে লটারি পদ্ধতিতেও আমরা সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে পারছি না। একটা ব্যাপার ভালো যে, আমরা লটারির মাধ্যমে ভর্তিতে বড় অনিয়ম দেখিনি। লটারি পদ্ধতি শুরুর পর ভর্তিতে বড় ধরনের কোনো অনিয়মের কথা শুনিনি। ফলে আমরা ধরে নিচ্ছি, আমাদের হাতে থাকা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভালো।

মাউশির মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মোজাক্কার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ