• শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
অগ্নিদগ্ধ হয়ে আইসিইউতে ভর্তি জাতীয় কবির নাতি বাবুল কাজী জনগণের ভোগান্তি বাড়াবে নতুন কর-ভ্যাটে: মির্জা ফখরুল গাজায় নির্বিচার ধ্বংসাত্মক হামলা চালিয়েছে ইসরাইল: সাবেক মার্কিন কূটনীতিক শারীরিক অবস্থার অবনতি খালেদা জিয়ার, মায়ের জন্য দোয়া চাইলেন তারেক রহমান গাড়ির ধাক্কায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ৭০ ভাগ বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি সম্পন্ন শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও পঞ্চগড়ে কমছে না শীতের দাপট ৪.১ শতাংশ বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস দিলো বিশ্বব্যাংক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইসরায়েল থেকে মুক্তি ৯৫ ফিলিস্তিনি ১২টি ইউনিটের তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে ট্যানারি গোডাউনের আগুন

বাগেরহাটে এলজিইডির ঠিকাদারদের মানববন্ধন

আপডেটঃ : রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) আহ্বান করা দরপত্রে নির্মান সামগ্রীর দাম  বাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাগেরহাট জেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি। রোববার সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে জেলার বিভিন্ন থানার কয়েকশ ঠিকাদার অংশ নেন ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে ।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাট, অবকাঠামো নির্মান করে সরকারের উন্নয়ন কাজে ঠিকাদাররা অবদান রেখে চলেছেন। এই ঠিকাদারি করে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। অথচ সরকারের এই উন্নয়ন কাজে এলজিইডি বিভাগ নির্মান সামগ্রীর যে দাম নির্ধারণ করে দরপত্র আহ্বান করছে তার সাথে বর্তমান বাজারদর অ-সংগতিপূর্ণ। বর্তমানে বাজারে নির্মান সামগ্রীর দাম অ-স্বাভাবিকহারে বেড়ে গেছে। এই বাজার দরে কার্য্যাদেশ পেয়ে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা বাস্তবায়ন করছে তাতে তাকে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বর্তমানে বেঁধে দেওয়া নির্মান সামগ্রীর দাম বাড়ানোর দাবি জানান ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির নেতারা। তাদের এই দাবি মেনে না নিলে ভবিষ্যতে এলজিইডি’র আহ্বান করা দরপত্রে অংশগ্রহণ করবে না বলে হুমকি দেন ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি নেতারা। তবে, বাগেরহাটের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির করা সব অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছে। তারা বলছে আমরা যখন উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহ্বান করি তখন বাজার দর দেখেই  করি।তারা বলেন, বর্তমানে এলজিইডি বিভাগ যে দরপত্রে উন্নয়ন কাজ আহ্বান করেছে তাতে প্রতিটি ইটের দাম ধরেছে আট টাকা ৭৫ পয়সা অথচ বর্তমান বাজার দর এগারো টাকা, ইটের খোয়া প্রতি ঘনফুট ৮৪ টাকা অথচ বাজার দর একশ টাকা, পাথর চিপস প্রতি ঘনফুট ১২০ টাকা অথচ বাজার দর ১৪৯ টাকা। এছাড়া পাথর ডাস্ট, বিটুমিনসহ সব ধরনের নির্মান সামগ্রীর দাম ও অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে।তারা আরও অভিযোগ করেন, এলজিইডি বিভাগ স্ব স্ব জেলার দরপত্র আহ্ববানের আগে নির্মান সামগ্রীর বাজার দর যাচাই করে। তারপর তারা দরপত্র আহ্বান করে। উদারহরণ হিসেবে তারা বলেন, পাশ^বর্তি গোপালগঞ্জ ও পিরোজপুর জেলায় নির্মান সামগ্রীর বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে সংগতি রেখে এলজিইডি তাদের দরপত্র আহ্বান করে থাকে। শুধুমাত্র বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলায় এলজিইডি তাদের নিয়ম মানছে না। স্থানীয় উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাই এটা করছেন।মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি’র আহ্বাবায়ক খান আবু বক্কর সিদ্দিক, সদস্য সচিব আব্দুর রব সরদার, সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমানসহ সমিতির সদস্যরা।মানববন্ধন শেষে জেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে। ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সদস্য সচিব আব্দুর রব সরদার।জেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির করা সব অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে বাগেরহাট এলজিইডি’র জেষ্ঠ্য সহকারি প্রকৌশলী আবু কামাল এর সাথে এ বিষয়ে জনানার  জন্য যোগাযোগ করলে তিনি  বলেন, আমরা যখন কোন উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহ্বান করি তখন স্থানীয় চলমান বাজারে নির্মান সামগ্রীর দর যাচাই বাছাই করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। তারা যাচাই বাছাই করে চুড়ান্ত অনুমোদন দিলে তবে তার দরপত্র আমরা বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করি। ঠিকাদাররা তো নির্মান সামগ্রীর বাজার দর দেখেই তাতে অংশ নেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ