বরিশালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুই ট্রাক পুরাতন নথি আটক করেছে স্থানীয় জনতা। আগুনে পুড়িয়ে ফেলার জন্য ওই নথি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ভাগাড়ে না নিয়ে নদীর পাড়ে কেন নিচ্ছিল, এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে বরিশাল নগরীর পাশে সদর উপজেলার চরবারিয়া ইউনিয়নের কাগাসুরা বাজারে ওই ট্রাক দুটি আটক করে জনতা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দু’দিন আগে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
শুক্রবার যখন দুই ট্রাকবোঝাই পুরাতন নথি এই এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখনই সবার মনে সন্দেহ জাগে। বাজারের মধ্য দিয়ে এত কাগজ এর আগে কখনো নদীর ধারে নিতে দেখেনি কেউ। ট্রাক আটক করার পর গাড়ির চালক এগুলো সরকারি নথি এবং পোড়ানো হবে জানালে জনতা পুলিশে খবর দেয়।
ট্রাকচালক জানান, তারা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে এসব নথি নিয়ে এসেছেন। ওই দপ্তরের লোকজনই তাদের ট্রাকে মালামাল উঠিয়ে দিয়েছে।
বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৯২ সালের পর থেকে জমা হওয়া বিভিন্ন শিডিউলের ফটোকপি অফিসে জমা হয়েছিল।
রুম খালি করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে নথিগুলো পুড়িয়ে ফেলার জন্য ময়লার ভাগাড়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো ভাগাড়ে না নিয়ে ভাড়াটে শ্রমিকরা বিক্রির উদ্দেশ্যে অন্য কোথাও নিয়ে যায়। পরে জনতা আটক করলে পুলিশের সহায়তায় আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পুরাতন মালামাল নিলামে বিক্রির নিয়ম থাকলেও নথি নিলামে বিক্রির নিয়ম নেই। এগুলো পুড়িয়ে ফেলতে হয়।