দেশের পিতৃতান্ত্রিক মুসলিম সমাজ ব্যবস্থা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার ও সংস্কৃতি সংস্পর্শ—এ ৩টি বিষয় শাপলা, কামিনী ও মোহনা নামের ৩ মেয়ের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করেছে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র ‘আহত ফুলের গল্প’।
ছবিটির কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনা করেছেন অন্ত আজাদ। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘আহত ফুলের গল্প’ সিনেমার প্রথম টিজার। সিনেমার শুটিং ও সম্পাদনা শেষে ডিসেম্বরে সেন্সরে জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন সিনেমার পরিচালক অন্ত আজাদ।
‘আহত ফুলের গল্প’ সিনেমা নিয়ে নির্মাতা বলেন, এ সিনেমায় সমাজের বিভিন্ন ঘটনার পাশাপাশি কিছু মানুষের চিন্তার বিবর্তনের গল্প থাকছে। মূলত তিনটি মেয়ের জীবনের কাহিনীকে ঘিরে থাকছে সিনেমার মূল গল্প।
অন্তু আজাদ আরো বলেন, এই চলচ্চিত্রে ফ্যান্টাসি নেই, আছে চারপাশে দেখা ঘটনা। যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমাদের প্রচলিত জীবনের গভীর সংকট উপলব্ধির চেষ্টা। সিরিয়াস বিষয় গল্পের বিষয়বস্তু হলেও- দৈনন্দিন জীবনে বয়ে চলা হাসি-ঠাট্টা, গান-গীত এবং একটি প্রেম কাহিনির মাধ্যমে গল্পের মূল সুরটি প্রবাহিত হয়েছে।
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাহিয়া খান। আরো অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত, সুজন মাহাবুব, আলী আহসান, অনন্যা হক, শেলী আহসান, জয়া, অভি চৌধুরী, শান্ত কুণ্ডু প্রমুখ।
ছবিতে পঞ্চগড় জেলার আঞ্চলিক বিয়ের গান ব্যবহৃত হয়েছে। আছে রবীন্দ্রনাথের গান ও নজরুলের কবিতা। দুটি মৌলিক গান লিখেছেন সোলায়মান আকন্দ ও শাহিন আহমেদ। সিনেমায় বিয়ের গীতসহ মোট ৫টি গান রয়েছে। চলচ্চিত্রটির প্রায় ৯৫ ভাগ চিত্রায়ন হয়েছে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জে।