স্থূল বা মোটা মানুষদের বেশিরভাগই নিজের স্থূলতা নিয়ে সারাক্ষণ হীনমন্যতায় ভোগেন। এরা কৃশকায় হতে চান। তবে এদের বেশিরভাগই পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘাম ঝরিয়ে স্লিম হতে চায় না। বিনা পরিশ্রমে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওজন কমানোর জন্য অনেকেই বেছে নেন স্লিমিং পিল। উপকারও পান কেউ কেউ। তবে এই পথে হাঁটতে গিয়ে অনেকেই নিজের বিপদ ডেকে আনেন।
সম্প্রতি স্লিমিং পিলের ক্ষতিকর নানা দিক নিয়ে উদ্বেগজনক এক তথ্য দিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চিকিত্সা সংস্থা। দ্য মেডিসিন এন্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইচআরএ) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, স্লিমিং পিলে নানা ধরনের ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। হৃদরোগের সমস্যা থেকে শুরু করে চোখে কম দেখা, ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাদের দাবি, এই ধরনের স্লিমিং পিলে নিষিদ্ধ এবং ক্ষতিকর নানা উপাদান থাকে।
গবেষকরা জানান, স্লিমিং পিলের কিছু উপাদান মানব দেহে প্রবেশ করে খাদ্য থেকে চর্বি জাতীয় পদার্থের নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়। ফলে দেহের অভ্যন্তরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বিষক্রিয়া তৈরি হয়। ১৮০০ ব্যবহারকারীর ওপর চালানো এক জরিপের ফলাফলে বলা হয়, এক তৃতীয়াংশ মানুষ অনলাইনে স্লিমিং পিল কিনে থাকে। আর স্লিমিং পিল গ্রহণকারীদের দুই তৃতীয়াংশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীরা জানান, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওজন কমাতে চান। অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে তারা সেখান থেকে প্রলুব্ধ হন। এমনকি চিকিৎসকের সাথে কোনো ধরনের পরামর্শও করেন না। অনেকেই নিজের ভুল বুঝতে পারেন কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে যায়। আরেকটি উদ্বেগজনক তথ্য হলো, যারা একবার এই ধরনের স্লিমিং পিল গ্রহণ করতে শুরু করেন তারা এর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। একটা পর্যায়ে স্লিমিং পিল না নিলে শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন।
উদ্বেগের বিষয়, লাইসেন্স বিহীন অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে স্লিমিং পিল বিক্রি করে মানুষকে দারুণ ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এবং ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স দেখে স্লিমিং পিল কেনার জন্য সতর্ক করে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। -বিবিসি