নিজ বাড়িতেই দুর্বৃত্তের হাত থেকে ছোট ছেলে জেহকে বাঁচাতে ধস্তাধস্তি হয় বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের। এক পর্যায়ে সেই দুর্বৃত্ত সাইফকে ৬ বার ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নিউরোসার্জারি হয়েছে আহত সাইফের। কসমেটিক সার্জারি এখনও চলছে বলে খবর।
লোকমার্ট- এর রিপোর্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাড়িতে এ হামলার শিকার সাইফ আলি খান। কড়া নিরাপত্তা পেরিয়ে কীভাবে ১২ তলায় পতৌদি ম্যানসনে পৌঁছাল হামলাকারী সে প্রশ্নে অবাক পুলিশসহ অনেকেই। এরই তদন্তে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এক নারী কর্মীর সহায়তায় পতৌদি ম্যানসনের ভেতরে ঢুকে পড়েন হামলাকারী যুবক। সেখানেই সারারাত গা-ঢাকা দিয়ে থাকেন। এরপর রাত ১টার পর বের হয়ে সাইফপুত্র জেহ এর ঘরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন সেই যুবক। জেহ’র ন্যানি ওই যুবককে দেখে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনেই সাইফ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। হামলাকারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার। পরিবারকে রক্ষা করতেই প্রাণপণ চেষ্টা করেন অভিনেতা। এ সময় হামলাকারীর উপর্যুপরি আঘাতে গুরুতর আহত হন ছোটে নবাব।
এদিকে ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বাই পুলিশ। স্নিফার ডগ নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করা হয়েছে। সাইফ আলির বাড়ির তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পশ্চিম বান্দ্রার সমস্ত বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিশ।
এদিকে পতৌদি ম্যানশনের কর্মচারীদের কাছে পুলিশ জানতে চেয়েছে, গত দুদিনে কারা কাজ করতে এসেছিল। ওই ভবনের সব ফ্ল্যাটের সব সিসিটিভি ফুটেজ সিজ করেছে পুলিশ।
লোকমার্ট-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বলিউড অভিনেতা সালমান খানের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার সঙ্গে সাইফ আলির ওপর হামলা ঘটনার কোনো যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বলিউড ‘ভাইজানের’ বন্ধু বাবা সিদ্দিকির হত্যার সময়ই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল এই ঘটনার জন্য দায়ী সালমান খান। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার সময় সালমানের সঙ্গে ছিলেন সাইফ। আরও ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী নীলম, টাবু ও সোনালি। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের চলাকালে হরিণ শিকারের এই ভুল করেন সালমান।