বাংলাদেশের ফুটবলে এখন একটা নাম সবচাইতে বেশি চর্চিত হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলারকে ঘিরে ফুটবলপ্রেমিদের স্বপ্নের ডানা মেলতে শুরু করেছে।
হামজার উপস্থিতি বাংলাদেশের ফুটবলে বড় প্রভাব ফেলবে এমনটা বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও।
আজ বাফুফেতে হামজার মানের আরও তিন চারজন ফুটবলার বাংলাদেশ দলে থাকলে ভালো হতো, এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক। বাফুফে ভবনে ফুফের অনাবাসিক একাডেমি ক্ষুদে ফুটবলারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় এসব বলেন তিনি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলবে এটা দারুণ বিষয় সেটা আগেই বলেছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। আজ কোচিং কোর্স করতে এসে তিনি বলেন, ‘হামজা সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলে যা বিশাল ব্যাপার। হামজা ৩-৪টা থাকলে দেশের জন্য ভালো। সে আসছে, এটা সবার জন্য ভালো।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা ২০১৫ সালে যোগ দেন লেস্টার সিটিতে। পরের বছর ধারে যোগ দেন বার্টন অ্যালবিয়নে; সেখানে কাটান ২০১৭ পর্যন্ত। গত মৌসুমে ওয়াটফোর্ডে ধারে খেলেছেন ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার। অনেক দৌড়ঝাঁপের পর বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পেয়েছেন হামজা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের গায়ে লাল-সবুজের জার্সি উঠতে পারে আগামী মার্চেই; ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ম্যাচে।
এবারের মৌসুমে কোনও ক্লাবের হয়ে খেলতে পারছেন না জামাল। মধ্যবর্তী দলবদলে কোনও ক্লাবে নিজের নাম লিখাতে পারেন তিনি। এই বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি। জামাল বলেন, ‘আবাহনীর সাথে যে ইস্যুটা হয়েছে, সেটা হয়ে গেছে। এটা আমার ডিসিশন না, ওদের ডিসিশন ছিল। (লিগের দ্বিতীয় ভাগে কোন দলের হয়ে খেলব) ১০ দিনের ভিতরে সমাধান হয়ে যাবে। (এএফসি/ফিফার কাছে যাবেন কিনা?) দেখা যাক। এতদিন আমি ডেনমার্কে ছিলাম, ওখানে স্থানীয় পর্যায়ে খেলেছি ক্লাবে অনুশীলন করেছি।