১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের অন্যতম ব্যান্ড মাইলস। সফলতার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ২০১০ সালে ব্যান্ড ছেড়ে দেওয়ার প্রথম ঘোষণা দেন শাফিন আহমেদ। যদিও অল্প সময়ের ব্যবধানে তারা ফের একসঙ্গে মঞ্চ মাতান গিটার হাতে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। আবারো মাইলস-এ চলছে ভাঙন। যদিও সেটা শিকার করতে নারাজ শাফিন আহমেদ।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে একাই এসে মাইলসের অন্য ‘সদস্যদের’ উদ্দেশ্য করে বেশ ভারী কিছু কথা বললেন শাফিন! শাফিন আহেমদ বলেন, ‘এ বছর এপ্রিল থেকে মাইলস ব্যান্ডের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। মূলত গানের রয়্যালটি নিয়ে হামিন আহমেদের সঙ্গে আলাপ করতে গেলে সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি হয়। তিনি একাই ছয়টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই করেন, যা একটা ব্যান্ডে কেউ এককভাবে করতে পারেন না। এই সমস্যা সমাধানের কথা বললে বিষয়টি বারবার এড়িয়ে যাওয়া হয়। মূলত এ কারণে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিই।’
শাফিন আহমেদ আরো বললেন, ‘মাইলসের এখন একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছে। এটি আমি দিয়েছি। বিগত ৩৬ বছর ধরেই করে আসছি। এখন কেউ মাইলস ব্যান্ড লিমিটেডের অনুমতি ছাড়া মাইলস নামটি ব্যবহার করতে পারবে না। কতিপয় ব্যক্তি এ কাজ করছে। যা আইন সিদ্ধ নয়।’
জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস ভাঙার মূলে রয়েছে টাকা! এই ব্যান্ডের সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক লেনদেনের স্বচ্ছতা আনতে মাইলস লিমিটেড কোম্পানি নামে চালু করতে বাধ্য হন শাফিন আহমেদ। জানান, গত নভেম্বরের ১৭ তারিখে মাইলস ব্যান্ডের জন্য লাইসেন্স তৈরি করেন শাফিন। ব্যান্ডর প্রাতিষ্ঠানিক নাম রাখা হয় মাইলস ব্যান্ড লিমিটেড। সরকারি নিবন্ধন হিসাবে ৩৬ বছরের মাইলস ব্যান্ডের বয়স আজ ১ মাস ৩ দিন।
এই সূত্রে সম্প্রতি তিনি একটি আইনি নোটিশ দলের সদস্যদের কাছে পাঠান। যেখানে তার আইনজীবী মোস্তফা জামাল পাশা উল্লেখ করেন, আমার মক্কেল মাইলস ব্যান্ড লিমিটেডের এর উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা শাফিন আহমেদ। তিনি মাইলস ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বর্তমানে মাইলস ব্যান্ড ‘মাইলস ব্যান্ড লিমিটেডে’-এর সম্পত্তি। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, কতিপয় ব্যক্তি মাইলস ব্যান্ড লিমিটেডের অর্থাত্ শাফিন আহমেদের কোনও অনুমতি ছাড়াই ‘মাইলস’ নাম ব্যবহার করে গান পরিবেশন করছেন। যার একক অধিকার শুধু শাফিন আহমেদের। অনুমতি ছাড়া কোনও প্রকার পরিবেশনায় না যাওয়ার জন্য মিউজিসিয়ানসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হচ্ছে।