পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে শুক্রবার একটি সভার আয়োজন করে ভারতের মুম্বাই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সাঈদের দল দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল। আর সেখানেই অতিথির আসনে হাফিজের পাশেই দেখা গেলো পাকিস্তানে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আবু আলিকে।
সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নয়াদিল্লী। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, ‘বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। নয়াদিল্লীতে ফিলিস্থিনের রাষ্ট্রদূতের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হবে।’ প্রতিক্রিয়া যেমনই হোক, এই ঘটনা নয়াদিল্লীর পক্ষে যথেষ্ট অস্বস্তি এবং বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ জেরুজালেম ইস্যুতে ভারত নিজের ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার’ যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্রমশ আরো ভালো ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ হয়ে ওঠা ইসরাইলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে ভোট দিয়েছে।
এ মাসের গোঁড়ায় জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী বলে স্বীকৃতি দিয়ে বিবৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঝড় ওঠে বিশ্ব জুড়ে। যে শহরকে ঘিরে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ, ট্রাম্পের বিবৃতিতে তা আবার উঠে আসে সামনে। বিষয়টি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি পর্যন্ত গড়ায়। প্রায় একঘরে হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। ১২৭টি দেশ তাদের বিরুদ্ধে ভোট দেয়। এর মধ্যে ভারতও ছিল। টাইমস অব ইন্ডিয়া।