সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অশান্ত হয়ে ওঠেছে ইরান। ইতোমধ্যে বিক্ষোভে অন্তত দুজন নিহত হবার খবর দিয়েছে বিবিসি। ২০০৯ সালের পর ইরানের বিপ্লবী সরকারের বিরুদ্ধে এটি সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। এদিকে বিক্ষোভকে ‘অবৈধ’ দাবি করে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে দেশটির সরকার।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের দাবিতে তিনদিন ধরে ইরানে বিক্ষোভ চলছে। যা এখন সরকার বিরোধী বিক্ষোভে রূপ নিয়েছে। দেশটির রেভ্যুলশনারি গার্ডের একজন কমান্ডার জানান, বিক্ষোভকারীরা রাজনৈতিক স্লোগান দিচ্ছেন এবং জনগণের সম্পদ পুড়িয়ে দিচ্ছেন।
দেশটির খুরামাবাদ, জানযান ও আহবাজ শহরে বিক্ষোভকারীরা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পদত্যাগ অথবা মৃত্যু দাবি করেছেন। তবে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর গড়ে ওঠা বিপ্লবী গার্ড দেশটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এই ফোর্সই খামেনির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত। বিপ্লবী গার্ডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কাওসারি রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ইসনাকে জানিয়েছেন, যদি দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে মানুষ রাস্তায় নেমে থাকে, তবে তাদের রাজনৈতিক স্লোগান ও জনগণের সম্পত্তি ও পরিবহনে অগ্নিসংযোগ বন্ধ করতে হবে।
এদিকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘অবৈধ সমাগম’ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে দিয়েছেন। ইরানের উত্তর পূর্বাঞ্চলের শহর মাসাদে গত বৃহস্পতিবার থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শুক্রবার তা অন্যান্য শহরেই ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার রাজধানী তেহরানেও কিছু বিক্ষোভকারী বিক্ষোভে অংশ নেয়। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অনেক জায়গায় বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিয়েছে। আবহার শহরে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনির ছবি সম্বলিত ব্যানা পুড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আরাক শহরে সরকারী বাসিজ মিলিশিয়া সদর দফতরে হামালও চালায় বিক্ষোভকারীরা। এক ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদের পুলিশের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিতে দেখা গেছে।
এ্দিকে শনিবার সরকার সমর্থকরাও রাজধানী তেহরানে সমাবেশ করেছে।