• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

‘গেমিং ডিস অর্ডার’ থেকে মানসিক অসুস্থতার জন্ম

আপডেটঃ : বুধবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৮

মানসিক রোগ একটা গুরুতর সমস্যা। তবে কারো এই সমস্যা মৃদু পর্যায়ে থাকে আর কারো কারো ক্ষেত্রে এটি জটিল আকার ধারণ করে। বংশগত কিংবা ভয়, দুশ্চিন্তার মতো কারণ থেকেও মানসিক রোগের সূত্রপাত হতে পারে। তবে সমপ্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দাবি করেছে, গেমিং ডিস অর্ডারের কারণেও মানসিক সমস্যার জন্ম হতে পারে। ২০১৮ সালে মানসিক সমস্যার তালিকাতেও গেমিং ডিস অর্ডারকে যুক্ত করতে চায় ডব্লিউএইচও। যারা প্রচুর পরিমাণে গেমস খেলে তারা যদি একই ধরনের আচরণের পুনরাবৃত্তি করে তাহলে তাকে ‘গেমিং ডিস অর্ডার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ডব্লিউএইচও। এই ধরনের আচরণের কারণে অনেক সময় মানুষ সহিংস হয়ে ওঠে যা কিনা তার ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, শিক্ষা জীবন এবং পেশা জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

ডব্লিউএইচও’র মুখপাত্র গ্রেগরি হার্টল বলেন, নতুন আইসিডি-১১ তে গেমিং ডিস অর্ডারের বিষয়টিকে বেশ প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও গেমের কারণে মানুষের মধ্যে প্রভাব পড়তে পারে। অনলাইন কিংবা অফলাইন দুই ধরনের ভিডিও গেম খেলার কারণেই মানুষের মধ্যে মানসিক প্রভাব পড়তে পারে। ভিডিও গেমিং ডিস অর্ডারের কারণে যদি কারো মানসিক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তা প্রতিরোধ করার পাশাপাশি অবশ্যই চিকিত্সা করানো দরকার।

১৯৯০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পৃথিবীর একশটি দেশকে রোগীদের তথ্য ভাণ্ডার তৈরির উদ্দেশ্যে কর্ম পরিকল্পনা (আইসিডি) করেছিল। সেই আইসিডি অনুযায়ী রোগীদের ওপর তথ্যভাণ্ডার তৈরি করে হাসপাতালগুলো। যা কিনা কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে কিংবা নির্দিষ্ট সময়ে কোনো রোগীর ইতিহাস পর্যালোচনা করতে সাহায্য করে। ২০১৮ সালের মে মাসে প্রকাশ হতে যাওয়া আইসিডি-১১ তে যুক্ত হবে গেমিং ডিস অর্ডার ইস্যুটি।-সিএনএন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ