বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশের জনসাধারণের কষ্ট লাঘবে ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বর্তমান সরকার দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য সেলিম উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এর ধারাবাহিকতায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
কবে নাগাদ শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন নিশ্চিত হবে এমন এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দ্রুততার সাথেই এ কাজটি সম্পন্নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিদ্যুতের মূল্য হ্রাস বা বৃদ্ধি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমান মূল্যহার হ্রাস বা বৃদ্ধি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হয়।
হামিদ বলেন, কমিশন স্বতন্ত্র ও পেশাদারিত্ব নিয়ে এই কাজ করে থাকে। অহেতুক বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে গ্রাহকের কষ্ট দেয়া সরকারের উদ্দেশ্য নয়। গ্রাহকগণ যে মূল্য পরিশোধ করছে তা ব্যয়ভিত্তিক নয়। বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানিগুলো আর্থিক লোকসান দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, এমতাবস্থায় যাচাই বাচাই শেষে গ্রাহকদের আর্থিক সক্ষমতা বিচার করে গত ডিসেম্বর থেকে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে কম মূল্যে খুচরা পর্যায়ে গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ট্যারিফ ঘাটতির জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৪ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্দেশ্যে বিতরণ ব্যবস্থায় আধুনিকায়নের জন্য বিদ্যুতের মূল্যহার ব্যয় ভিত্তিক হওয়া প্রয়োজন।
সরকারি দলের মাহফুজুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশের বিচ্ছন্ন দ্বীপে বিদ্যুৎ সুবিধা পোঁছে দেয়ার জন্য সোলার ও বায়ু চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বাসস।