গত ২৮ নভেম্বর অভিনেত্রী স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন নায়ক শাকিব খান। এরপর জল কম ঘোলা হয়নি। এগিয়ে আসে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। তালাকের বিষয়ে শুনানির জন্য শাকিব ও অপু বিশ্বাসকে তলব করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
আজ সোমবার ডিএনসিসি’র অঞ্চল-৩ এর অফিসে এই নোটিশের শুনানির ঘোষণা দেয়া হয়। সাড়ে ১২টার দিকে সিটি কর্পোরেশনে যান অপু বিশ্বাস। তবে হাজির হননি শাকিব খান। তিনি বর্তমানে ছবির শুটিং নিয়ে দেশের বাইরে ব্যস্ত রয়েছেন। তাকে ছাড়াই শুনানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এমনকি তার প্রতিনিধি হিসেবেও কেউ ছিলেন না।
ডিএনসিসি’র অঞ্চল-৩-এর সিনিয়র সচিব হেমায়েত হোসেন জানান, দুই পক্ষকে ডাকা হয়েছিল। এক পক্ষ অপু বিশ্বাস সঠিক টাইমে হাজির হলেও অপর পক্ষ শাকিব খান আসেননি। ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছেন শাকিব নিজেই। দেশে প্রচলিত তালাকের নিয়মকানুনের উপর তালাকের ভার দিয়েছেন তিনি। অথচ নিজেই এলেন না। শুনানিতে না থাকা বা প্রতিনিধি না রাখাটা হচ্ছে শুনানির প্রতি অবজ্ঞা দেখানো। তিনি না আসতে পারলে তার আইনজীবী বা একজন প্রতিনিধির থাকা উচিত ছিলো।
হেমায়েত হোসেন আরও বলেন, অপু বিশ্বাস এসেছিলেন। তিনি এখনো সংসার টিকিয়ে রাখতে চান। সন্তানের জন্য তিনি সংসারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। তবে শাকিব খান যদি আগ্রহী না হন কিছুই করার নেই। আরও দুইবার ডাকা হবে তাদের। সেখানে সমঝোতায় না এলে নিয়ম অনুযায়ীই তালাক হয়ে যাবে এই দুই তারকার। শাকিব-অপুর ডিভোর্সের পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।